খবরের শিরোনামে রয়েছে বাংলার বুক থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হওয়া। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিভিন্ন ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অফিসাররা প্রায় ৫০ কোটি টাকা এবং প্রচুর সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে।
এই টাকার সাথে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কি সম্পর্ক বা চাকরিপ্রার্থীদের এই টাকা কি করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে যেত তা জানতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই কারণেই এবার ইডির নজরে পার্থ ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ছাত্রনেতা। জানা গিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের কথা বলিয়ে দিতেন এবং টাকা নিতেন এঁরাই।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মধ্য কলকাতার কিছু ছাত্র নেতার দৈনন্দিন যাতায়াত ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৫ ছাত্রনেতার আয়-ব্যয়ের এবং সম্পত্তির খোঁজখবর নিচ্ছে। ইডি হেফাজতে জেরার সময় পার্থর কাছে ওই সমস্ত ছাত্রনেতার পরিচয় জানতে চাওয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সিচ করেছে ইডি। সব মিলিয়ে শনিবার ‘অপা’ জুটির একাধিক ভুয়ো সংস্থার মোট ৮ টি ব্যাংক একাউন্ট সিজ করা হয়েছে। এবার ইডির নজরে রয়েছে পার্থ অর্পিতা ঘনিষ্ঠ এবং পরিবার পরিজনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের দিকে। অভিযোগ উঠছে যে হাওয়ালার মাধ্যমে বেআইনি ভাবে বিপুল পরিমাণে টাকা পাঠানো হতো ওই সমস্ত অ্যাকাউন্টগুলিতে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকাল কলকাতা হাইকোর্টে শিক্ষা দপ্তর হলফনামা জমা দিয়ে জানিয়েছে রাজ্যে শূন্যপদ কত। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “আদালতকে বারবার রাজনীতির ময়দানে নামিয়ে আনলে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” এছাড়াও প্রাথমিক নিয়োগ হচ্ছে না কেন সেই প্রশ্নের জবাব দিয়ে আগামী ১৭ আগস্টের মধ্যে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, গতকাল SSC আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধির সাথে ঘন্টাখানেক বৈঠক করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়োগ সুনিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন। রাতভর টেট আন্দোলনকারীরা অভিষেকের সাথে কথা বলার জন্য ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছে।