স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সাঞ্চেজ বুধবার (২০ জুলাই) বলেছেন, ১০দিনের তাপপ্রবাহে স্পেনে ৫০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। খুবই ভীতিজনক।
গত বছরের তুলনায় এই মৃত্যু অনেকটাই বেশি। যদিও এই তথ্যকে এখনই অফিশিয়াল বলে ধরা হচ্ছে না। এটা মোটামুটি একটা অনুমানভিত্তিক পরিসংখ্যান।
ইউরোপের আবহাওয়ার ধীরে ধীরে অবনতি ঘটছে। গোটা ইউরোপের তাপপ্রবাহ ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। স্পেন, জার্মানি, ইংল্যান্ড এবং পর্তুগালে আগুনের হলকা। যুক্তরাজ্যে এই প্রথম আবহাওয়ার রেড অ্যালার্ট ঘোষিত হল। তাপের জেরে নষ্ট হচ্ছে ভূ-সম্পত্তি, প্রাণিজ সম্পত্তি।
ইউরোপের অনেক বাড়ি বা পথঘাটই পুরনো প্রযুক্তিতে তৈরি। এগুলি এই ভয়ানক তাপের সঙ্গে লড়তে পারছে না। গলে যাচ্ছে রাস্তাঘাট, বেঁকে যাচ্ছে রেললাইন, ফেটে যাচ্ছে বাড়িঘর।
দক্ষিণ ইউরোপের দেশগুলিতে প্রচণ্ড গরম ও দাবানলের পর এখন মধ্য ও উত্তর ইউরোপের দেশগুলিতেও দাবদাহের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ায় কয়েকশো ব্যক্তি মারা গেছেন।
জার্মানির একটি পত্রিকা ‘এই গ্রীষ্মে ইউরোপে আগুন’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন ছেপেছে। বলেছে, দক্ষিণ ইউরোপে ফ্রান্স, স্পেন, ইতালি, ক্রোয়েশিয়া, পর্তুগাল, গ্রিসের বনভূমিতে দাবানল চলছে। এতে যে পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে তা পুনরুদ্ধার করতে কয়েক বছর সময় লাগবে। দাবানলের জেরে এসব দেশের কৃষিকাজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ছবিঃ জি নিউজ।