২১শে জুলাই শহিদ স্মরণ, তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি-র বক্তব্য।
এই বৃষ্টি ভাসিয়ে নিয়ে যাবে বিজেপিকে।
আমাদের মেরুদন্ড সোজা , আমরা মাথা উঁচু করে চলি। আমরা রবি ঠাকুরের দেশের লোক, আমরা বলি চিত্ত যেথা ভয় শূন্য উচ্চ যেথা শির। ওঁদের মেরুদন্ড বাঁকা। ইডি, সিবিআই বিজেপির মেরুদন্ড।করোনা কারনে মাঝে এই অনুষ্ঠান হয়নি।যাঁরা বৃষ্টিতে ভিজেছেন, আমার কথা না শুনে চলে যাবেন না তো? জনস্রোতের দিকে প্রশ্ন মমতার। সন্ধ্যা মুখার্জি, লতা মঙ্গেশকর, বাপী লাহিড়ি, সৌমিত্র চ্যাটার্জি, অভিষেক বন্দ্যোপাধায়কে স্মরণ। ২১ জুলাই বৃষ্টি হয়।বিজেপি-সিপিএম হাসছিল বৃষ্টি দেখে, ভাবছিল তৃণমূলের মিটিং নষ্ট। তাঁদের উদ্দেশে মমতার বার্তা, ‘তৃণমূল দলতা মিষ্টি, কখনও বৃষ্টি, কখনো রোদ”তৃণমূল থাকলে ফ্রিতে রেশন পাবেন, লক্ষ্মীর ভান্ডার পাবেন, কন্যাশ্রী পাবেন, কৃষক বন্ধু পাবেন, সবুজ সাথী পাবেন, জয় জোহার পাবেন।বিজেপি সব জায়গায় সরকার ভাঙছে, এটাই ওদের কাজ। বাংলাতেও চেষ্টা করছিল। পারেনি। ২০২১ সালে মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে। তাই বলি ২১ বারবার। আমার চ্যালেঞ্জ একদিকে কৃষি একদিকে শিল্প।মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করার বার্তা। বাংলায় ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় রিপোর্ট বলছে ইনকামের দিক থেকে বাংলা প্রথম। এখানে কৃষকদের সবথেকে বেশি ইনকাম।১৭ হাজার শিক্ষকের চাকরি তৈরি, আমরা চাই চাকরি হোক, বিজেপি চায় না চাকরি হোক। ১০-১৫ লক্ষ টাকায় চাকরি বিক্রি হয়েছিল।মুড়ি-বাতাসা-মিষ্টিতেও জিএসটি। সবকিছুতেই জিএসটি, মানুষ খাবে কী? মঞ্চ থেকেই বলেন, “আমাদের মুড়ি ফিরিয়ে দাও, নইলে বিজেপি বিদায় নাও।”
প্রশ্ন করেন, ‘আমার প্রশ্ন, মারা যেতে কত জিএসটি দিতে হবে!’’ আজ টাকার দাম সবচেয়ে কম।লক্ষ লক্ষ চাকরি ছাঁটাই হয়েছে, এখন আর্মিকে বঞ্চনা করে অগ্নিপথ! পরে যাঁরা আপনাদের ক্যাডার হয়ে কাজ করবে? এসব চলতে পারেনা। দেউচা পাঁচামি, তাজপুর বন্দর, নতুন সিলিকন ভ্যালি, বাংলায় অনেক কাজের ভ্যাকান্সি তৈরি হচ্ছে।রাজ্যে আর কয়লার ঘাটতি হবে না। চাকরি প্রসঙ্গে বামেদের তীব্র কটাক্ষ। বিকাশরঞ্জনের নাম উল্লেখ করে বলেন, ” কী বিকাশবাবু, ফাইলটা একটু বের করব।” ভারতে একটা আদর্শ রাজনৈতিক দল থাকুক, তার নাম তৃণমূল।বাংলা ভাঙার চেষ্টা করবেন না, বাংলায় রয়েল বেঙ্গল টাইগার আছে।
ইডি, সিবিআই দিয়ে আমাকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।
বাংলার আবাস যোজনা বন্ধ, ৭ মাস ধরে টাকা আসছে না। রাজনীতিতে কেউ জেতে কেউ হারে, কিন্তু আপনাকে ভোট না দিলে কি খেতে দেবেন না?
গরীবের টাকা কেন আটক, ১০০ দিনের টাকা দ্রুত দেওয়ার দাবি। ১০০ দিনের টাকা দ্রুত না দিলে দিল্লি গিয়ে ঘেরাওয়ের বার্তা।
২৮ আগস্ট রবিবার পড়েছে, পরিবর্তে অনুষ্ঠান হবে ২৯ তারিখ। গান্ধীমূর্তির পাদদেশে হবে সভা। তৃণাঙ্কুর, দেবাংশু সবাইকে বলেছি।
৯ আগস্ট বিশ্ব আদিবাসী দিবস, সেদিন সব আদিবাসীদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। ওইদিনেই মহরম, তাড়াতাড়ি অনুষ্ঠান করতে হবে।
১৪ আগস্ট আপনারা সকলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করুন।
১২ আগস্ট ঘরে ঘরে তেরঙ্গা পতাকা লাগান, অনুষ্ঠান করুন।
২২ আগস্ট সব ব্লকে ব্লকে অনুষ্ঠান হবে, দুর্গাপুজোর ইউনেসকোর স্বীকৃতি উপলক্ষ্যে।
সেপ্টেম্বর জুড়ে পুজোর পস্তুতি।
আমি দেখতে চাই, আমার কর্মীরা সাইকেলে করে গ্রাম ঘুরবেন, এমএলএ’রা হেঁটে ঘুরবেন, এমপি’রা ঘুরে দেখবেন।
ব্যক্তির থেকে দল বড়। এমন কথা বলব, যা আমার মুখে মানায়।
আমাদের নেতাদের গদ্দাররা ফোন করে ইডির ভয় দেখাচ্ছে।
যুব সম্প্রদায়ের উদ্দেশে প্রশ্ন, “ছাত্র যৌবন, লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত? দিল্লি যাবেন? সারা বাংলা-দেশ ঘুরবেন? ইডি-সিবিআই এলে ভয় পাবেন না তো?”
ইডি, সিবিআই এলে থালায় করে মুড়ি খেতে দেবেন, সঙ্গে তেল দেবেন, বলবেন ওতে জিএসটি লাগবে না।
এলাকায় এলাকায় নেতা পাঠাচ্ছে বিজেপি, লক্ষ্য রাখবেন ওঁদের ওপর।
তৃণমূলের নামে কেউ টাকা তুললে, বদমায়েশি করলে নিজেরা ব্যবস্থা করবেন, থানায় দেবেন। আমাকে খবর দেবেন, আমি একটা সিস্টেম বানিয়ে দেব।
অহংকার করবেন না, হাসিমুখে কাজ করব আমরা, মানবিক হব। হুঁশিয়ারি থেকে কাজ করবেন। আমরা হুঁশিয়ার হলে বিজেপি তত পিছু হটবে।
কোনও কর্মী খেতে না পেলে আমাকে বলবেন।
রবি ঠাকুরের গান উল্লেখ করে বলেন, ভয় করবেন না।
বিজেপির সরকার বিড়াল তপস্বীর সরকার।
মঞ্চ থেকেই স্লোগান দেন মমতা, ‘জয় বাংলা দিচ্ছে ডাক, জয় ভারত বেঁচে থাক।’
আমরা গরীবের প্রধানমন্ত্রী চাই। ২০২৪ এ মানুষের সরকার আনুন।
ছবিঃ সংগৃহীত।