সদ্যই মুক্তি পেলো বিশেষ নাটক ‘ভয়েস ক্লিপ’। ডা: জাহান সুলতানার রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন জনপ্রিয় নির্মাতা শিহাব শাহীন, কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী।
দর্শকমহলে দারুণ প্রশংসা কুড়াচ্ছে নাটকটি। মৃত্যুপথযাত্রী বাবাকে বাঁচাতে না পারা এবং ভুল সিদ্ধান্তে নিজের অপরাধবোধ যেন কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছিলো শিরিনকে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শিরিন চরিত্রটি যেন সমাজের চারপাশের চেনা এক চরিত্র। সেই চরিত্রে মেহজাবীনের অসাধারণ অভিনয় দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে ইউটিউবে মন্তব্যের ঘরে মিলছে প্রশংসাসূচক মন্তব্য।
কার্তিক মৈতি নামে একজন লিখেন, মেহজাবীন বাংলাদেশের একজন বিশাল বড় মাপের তারকা, বিশাল বড় এক সম্পদ। আমার মনে হয় ওর জায়গা আরো উচুঁতে হওয়ার কথা ছিল। অভিনয় দেখার পরে মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।
রাসেল লিখেন, নাটকটা দেখে মনের অজান্তেই চোখে জল চলে আসল। অসাধারণ একটা নাটক।
পৌলমি চ্যাটার্জি নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে লিখেন, হৃদয় ছোঁয়া নাটক। প্রতিটি শিল্পীর পরিশিলিত অভিনয় মন কেড়ে নিলো। শিরিনের আতরের ঘ্রাণ নেওয়া চোখে জল এনে দিল। আমিওতো ১৪ বছর পর এখনও বাবাকে খুঁজি। একজন মানুষের অনুভূতিই পারে তার অন্ধকার অতীত ভুলে আলোর পথে নিয়ে আসতে, বাশারের voice clip তার প্রমাণ। শেষে সম্ভাবনা থেকে গেলো দ্বিতীয় পর্বের। যদি শিরিনের ডাক্তার হওয়া ও বাশারের আলোর পথে থাকার সাক্ষী হওয়া যায়, মন্দ হয়না।
স্বর্ণা তাহিন লিখেন, আমিও এখনও কেঁদে চলেছি,মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েরা জানে, সমাজ, জীবন কত কঠিন আমাদের জন্য। বাবারা কত অসহায় হয়ে পড়ে।
আফসানা তন্দ্রা নামের একজন লিখেন, বাশারের ভয়েস ক্লিপ টা মন ছুঁয়ে গেলো, এমন একটা চরিত্র এভাবেও নিজেকে শুধরে কাউকে ভালোবাসতে পারে এভাবে…..!! আর মেহজাবীনের আতরের সুগন্ধির ঘ্রাণ নেয়াটা দেখে আমার অন্তরের ভেতরটা কান্না করে উঠেছিলো।
একজন লিখেন, আমার বাবা এখনো জীবিত। ভগবানের দয়াতে, কেন জানি নাটক টা দেখে চোখ ভেঙ্গে অঝোর ধারায় কান্না চলে আসলো, হয়তো এটাই বাবার প্রতি সন্তানের দ্বায়িত্ব আর ভালোবাসা।
‘ভয়েস ক্লিপ’ নাটকটিতে মেহজাবীন ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন নরেশ ভুঁইয়া, ইমতিয়াজ বর্ষণ এবং বৈদ্যনাথ সাহা প্রমুখ।