ঈদের দিন কীভাবে সাজবেন চলছে সেই প্রস্তুতি। গরমের এই সময়ে যতটা সম্ভব পরিপাটি ও স্নিগ্ধ সাজগোজেই ভালো।
নিজেকে পরিপাটি দেখানোর জন্য চুলের কাট, মেনিকিওর-পেডিকিওর এবং ফেসিয়াল সেরে নিতে পারেন।
ঈদের দিন সাধারণত ঘরে বসেই একা একা সাজতে হয়। পরিকল্পনা আর প্রস্তুতি থাকলে ঘরেই বসেই সুন্দর করে সাজগোজ করা সম্ভব। অতিরিক্ত গরমের পাশাপাশি বৃষ্টির সময় ঈদ হওয়ায় সাজগোজ যতটা সম্ভব হালকা থাকলেই ভালো।
গরমে ত্বকের আর্দ্র ভাব কমে যেতে পারে। এজন্য ঈদের দিন সকাল থেকেই জল ও অন্যান্য তরল খাবার বেশি করে খাবেন।
ঈদের দিন সকাল ও দুপুরের পোশাক হালকা রঙের হলেই ভালো। সাথে হালকা মেকআপ। এই সময় লিকুইড ফাউন্ডেশন ভালো। তার উপর হালকা করে পাউডার আর হালকা শেডের ব্লাশ-অনেই সাজ কমপ্লিট হয়ে যাবে।
পরিপাটি ভাব বজায় রাখতে হালকা করে আইব্রো একে নেয়া যেতে পারে। চোখের পাতায় চিকন করে আইলাইনার ও কাজল লাগালে আরও ভালো লাগবে। আইল্যাশ ব্যবহারে চোখের সাজ ফুটবে।
চুল স্ট্রেইট হলে সামনে একটু বেণী করে আটকে দেয়া যেতে পারে। আবার চুল খোলা রাখলেও ভালো দেখাবে। বড় চুল খোঁপা করে ফুল গুঁজে দিলে গরমের ঈদে স্নিগ্ধতা এনে দেবে।
রাতের পোশাক ভারি হতে পারে। শাড়ি জমকালো হলে হালকা মেকআপ দিতে হবে। আর মেকআপ ভারি হলে হালকা কাজের শাড়ি মানানসই। শাড়ির সাথে মিলিয়ে গহনা নির্বাচন করতে হবে।
ঈদই দিনে ছেলেরা একটু নিজেদের যত্ন নেয়। ছেলেদের ঈদের সাজগোজের প্রস্তুতিতে চুল বা দাড়ি কাটা বা ট্রিম করা ও মেনিকিওর-পেডিকিওর করা খুব জরুরি। ঈদের দিন ছেলেরা হালকা রঙের পাঞ্জাবী পরলে ভালো হবে। তবে পাঞ্জাবী পরুন কি ঈদের বিকেলে টি-শার্ট, পারফিউম দিতে ভুললে চলবে না একদমই।
সাজ-পোশাক মানুষের ব্যক্তিত্ব ও রুচির পরিচয় দেয়। ঈদের সাজ-পোশাক পছন্দ করার ক্ষেত্রেও এই ব্যাপারটি মনে রাখা দরকার। ছিমছাম আর পরিপাটি সাজে ঈদ হয়ে উঠুক প্রাণবন্ত।