শুধু খাবারের ক্ষেত্রে নয় মেকআপ কিংবা স্কিনকেয়ার সামগ্রীও চাইলে ফ্রিজে রেখে আমরা সংরক্ষণ করতে পারি। সেগুলো দীর্ঘদিন ভালো থাকবে। ব্যবহারের অভাবে অনেকেরই মেকআপ সামগ্রীগুলো নষ্ট হয়ে যায়। আপনার মেকআপ কিংবা স্কিনকেয়ার সামগ্রীগুলো ভালো রাখতে ফ্রিজে রাখুন।
মেকআপগুলো ভালো থাকবে কিংবা স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টস এর কার্যকরিতা বজায় থাকবে।
লিপস্টিকঃ গরমে লিপস্টিক গলে যায় অনেক সময়ে। গরমে লিপস্টিকের রাসায়নিক পরিবর্তনের কারণে রংটাই পালটে যেতে পারে৷
নেইল পলিশঃ নেইল পলিশের একটা কম সমস্যা হলো জমাট বেঁধে যাওয়া। অবশ্যই ফ্রিজে নেল পলিশ রাখুন। তাহলে জমাট বেধে যাবে না এবং নখেও দীর্ঘসময় ধরে রাখবে।
ফেসিয়াল মাস্কঃ ফেসিয়াল মাস্কগুলি ফ্রিজে সংরক্ষণ করা ভাল। মাস্ক ত্বকে হাইড্রেশন সরবরাহ করতে এবং ভালভাবে ময়শ্চারাইজ করে। যারা ত্বকে জ্বালাপোড়ায় ভুগছেন বা সমস্যাযুক্ত ত্বকে ভুগছেন তাদের জন্য ঠান্ডা ফেসিয়াল মাস্ক ব্যবহার করে দেখুন দারুন কাজ করে।
লিকুইড মেকআপঃ ফাউন্ডেশন, আই লাইনার এবং মাস্কারার মতো লিকুইড মেকআপ ফ্রিজে রাখলে তা তুলনায় বেশিদিন ব্যবহারযোগ্য থাকে৷
আই পেনসিলঃ চোখে পরার মিনিট পনেরো আগে আই পেনসিল বা কাজল ফ্রিজে রেখে দিন৷ এতে কাজল ভালো থাকার পাশাপাশি চোখে নিখুঁত সুন্দর লাইন টানতে সুবিধা হবে।
ফেসিয়াল মিস্ট বা টোনারঃ প্রতিদিনের ব্যবহারের ফেসিয়াল মিস্ট বা টোনারের বোতলও ফ্রিজে রাখতে পারেন। বাইরের থেকে ফিরে ক্লান্ত ত্বক ঠান্ডা টোনার বা মিস্ট ব্যবহার করলে ত্বক খুব দ্রুত ফ্রেশ হবে এবং আরামদায়ক থাকবেন।
চোখের ক্রিমঃ চোখের ক্রিম সাধারণত চোখের চারপাশে ফোলাভাব এবং শীতল প্রভাবের জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি ফ্রিজে রাখা উচিত যাতে চোখের ক্রিম তৈরিতে ব্যবহৃত কোল্ড থেরাপি কাজ করে। একটি ঠান্ডা আই ক্রিম প্রয়োগ করা হয়, তার ঠান্ডা তাপমাত্রার কারণে, এটি রক্তনালীগুলিকে সংকুচিত করে যার ফলে আপনার চোখের চারপাশে ফোলাভাব চলে যায়।