সশস্ত্র বাহিনীর নিয়োগসংক্রান্ত প্রকল্প অগ্নিপথের বিরোধিতা করে ভারতজুড়ে বন্ধ্ পালন করছেন চাকরিপ্রত্যাশী বিক্ষোভকারীরা। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চুক্তিভিত্তিক ও স্বল্পমেয়াদি এই প্রকল্প বহাল থাকবে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষণার পর সোমবার দেশজুড়ে বন্ধ্ পালনের ঘোষণা করেন। বন্ধ্কে কেন্দ্র বিভিন্ন রাজ্যে মোট ৪৮৩টি ট্রেন সেবা বাতিল করা হয়েছে।
অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতা করে গত কয়েক দিনে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সহিংস বিক্ষোভ হয়েছে। সেই সব রাজ্যে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
বিহার রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সাড়ে ৩০০ ট্রেন চলাচল বাতিল করা হয়েছে। ২০ জেলায় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ আছে।
পাঞ্জাবের কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন কার্যালয়, সেনা নিয়োগ কেন্দ্র এবং বিজেপি ও হিন্দু নেতাদের কার্যালয়গুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
কেরালা পুলিশ বলেছে তাদের গোটা বাহিনী দায়িত্বে নিয়োজিত আছে। কেউ সহিংসতায় লিপ্ত হলে কিংবা জনগণের সম্পদ ধ্বংস করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।
পিটিআইর প্রতিবেদনে বলা হয়, বন্ধ্কে কেন্দ্র করে আজ ঝাড়খণ্ডে স্কুলগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। নবম ও একাদশ শ্রেণির পরীক্ষাগুলোও স্থগিত করা হয়েছে।
দিল্লির কাছে গৌতম বুদ্ধ নগর এলাকায় বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করে আদেশ জারি হয়েছে।
দিল্লির কাছে ফরিদাবাদে পুলিশের মুখপাত্র সুবে সিং বলেন, তারা যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানোর চেষ্টা করছেন। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা করে, অগ্নিপথ প্রকল্পের আওতায় সাড়ে ১৭ থেকে ২১ বছর বয়সের নারী-পুরুষেরা চার বছরের জন্য সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীতে চাকরি পাবেন। তাদের মূলত প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। তাদের প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার বেতন এবং চার বছর পর ১১ থেকে ১২ লাখ টাকা এককালীন অর্থ দেয়া হবে। কিন্তু ২৫ শতাংশের বেশি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তরুণের চাকরি স্থায়ী হবে না।
সরকারের অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণার পর এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজ্যে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়। উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, ঝাড়খন্ড ও দিল্লিসহ ১০টি রাজ্যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
বয়সসীমা কম হওয়ায় ও চাকরি স্থায়ী না হওয়ায় চাকরিপ্রার্থী শত শত তরুণ রাস্তায় নেমে আসেন। ছবি: সংগৃহীত।