বন্যা ও ভূমিধসে দুই রাজ্য আসাম ও মেঘালয়ে মৃত্যু বেড়ে ৪২ দাঁড়িয়েছে। জলবন্দি হয়ে পড়েছেন ৩২টি জেলার প্রায় ৩০ লাখ মানুষ। দেড় লাখ মানুষ ৫০০টি রিলিফ সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, ভারী বৃষ্টিতে বন্যার কবলে পড়েছে পূর্বাঞ্চল। টানা বৃষ্টি হয়েছে ত্রিপুরায়ও। রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় গত ৬০ বছরের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। আসামে প্রায় ৩ হাজার গ্রাম বন্যার কবলে পড়েছে। তলিয়ে গেছে ৪৩ হাজার হেক্টর ফসলি জমি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাঁধ, কালভার্ট ও রাস্তাঘাট।
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, শনিবার (১৮ জুন) ১৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ।
এদিকে, মেঘালয়ের মৌসিনরাম ও চেরাপুঞ্জিতে ১৯৪০ সালের পর থেকে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। বন্যায় মৃত্যু হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারকে ৪ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা করেছেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা।
ভারতের উত্তরপূর্ব এই রাজ্যের হোজাই জেলায় বন্যার্তদের বহন করা একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার পর ২১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও এখনও তিন শিশুর খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজখবর নিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে ফোন করেছেন এবং তিনি কেন্দ্র থেকে সব ধরনের সহায়তা দেয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন।
বন্যা ও ভূমিধসের কারণে আটকা পড়াদের জন্য আসাম সরকার গোহাটি ও শিলচরের মধ্যে বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছে।
ছবি: সংগৃহীত