পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে একটি সংকীর্ণ পাহাড়ি সড়ক থেকে দ্রুতগামী বাস ছিটকে পড়ে অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার বেলুচিস্তান প্রদেশের কিল্লা সাইফুল্লাহ জেলায় এই দুর্ঘটনা।
নিহতদের মধ্যে কয়েকজন নারী ও শিশু রয়েছেন। ডেপুটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কাসিম বলেন, দুর্ঘটনায় কেউ বেঁচে নেই। উদ্ধারকারীরা মৃতদেহগুলোকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। বার্তাসংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।
জেলা প্রশাসক কাসিম দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত হয়েছেন প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেন। পরে যোগ করেন যে, উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আরও চারটি মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছেন। তিনি বলেন, স্বজনরা তাদের প্রিয়জনের দেহাবশেষ নিতে হাসপাতালে আসছেন। দুর্ঘটনার সঠিক কারণ অজানা রয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় আবহাওয়া ভালো ছিল এবং পুলিশ কর্মকর্তারা সম্ভাব্য যান্ত্রিক সমস্যা বা মানবিক ত্রুটির দিকে নজর রাখছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাসটি দ্রুত গতিতে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল আলি এপিকে বলেন, তিনি একই রাস্তায় মোটরসাইকেলে ভ্রমণ করছিলেন। তখন তিনি একটি ছোট বাসকে দ্রুতগতিতে যেতে দেখেন এবং গিরিখাতের মধ্যে ছিটকে পড়তে দেখেন। আব্দুল আলী বলেন, পাশের গ্রামের লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। তিনি উদ্ধারকারীদের সাথে যোগ দেন, যারা অ্যাম্বুলেন্সে করে মৃতদেহগুলোকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
কিল্লা সাইফুল্লাহ বেলুচিস্তানের প্রদেশের রাজধানী কোয়েটা থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার উত্তরে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারা এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং কর্তৃপক্ষকে যাত্রীদের মৃতদেহ তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, দুর্বল রাস্তা অবকাঠামো, ট্রাফিক আইনের প্রতি অবহেলা, সেইসাথে দুর্বল রক্ষণাবেক্ষণের যানবাহনের কারণে পাকিস্তানে এই ধরনের মারাত্মক দুর্ঘটনা। ছবি: এপি।