সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের প্রায় ১৫ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। বেড়েই যাচ্ছে মরদেহের সংখ্যা।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোর বিস্ফোরণে ৪২ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আগুন নেভাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চার শতাধিক। তাদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিক, স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও রয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এদিকে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, রোভার স্কাউট এবং রেড ক্রিসেন্টসহ স্থানীয় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কাজ করছে।
চট্টগ্রামের ‘গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠনই ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এছাড়া বিভিন্ন হাসপাতাল তাদের প্রায় ৫০০ এর মতো স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন।
এক সদস্য রাকিবুল হাসান বলেন, আমি নিজেই চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। এদের বেশিরভাগই চেনা যায় না চেহারা। আগুনে পুড়ে কয়লার মতো হয়ে গেছে। এক মরদেহের তো বিচ্ছিন্ন দুই হাত ১০-১৫ ফুট দূরে পাওয়া গেছে।
এদিকে এখনও ডিপোতে আগুন জ্বলছে দেখা যায়। এ আগুন নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। কেমিক্যাল পোড়ার ধোঁয়ায় পরিবেশ আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। সেখানে থাকা যাচ্ছে না বেশিক্ষণ। চোখ জ্বালাপোড়া করছে।
রাত থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করা ফায়ার সার্ভিসের কর্মী জাবেদ আহমেদ বলেন, এখনো কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণ আনা যাচ্ছে না। এখানে প্রধান সমস্যা অক্সিজেন ও ধোয়া।
এদিকে ডিপোর গেটের সামনে ভিড় করেছেন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজদের স্বজনরা। তারা খুঁজে ফিরছেন প্রিয়জনকে। কেউ কেউ আবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বজনকে না পেয়ে ডিপোর সামনে এসে অপেক্ষা করছেন। এসময় তাদের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠেছে চারপাশ।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত। ছবিঃ সংগৃহীত।