ডিম খেলে মোটা হয়ে যাব, কোলেস্টেরল বেড়ে যাবে। ওজন আরও বেড়ে যাবে। সাথে বাড়বে কোলেস্টেরল।
কারণ ডিমে রয়েছে ক্যালোরি। তাদের মনে হয় ডিম খেলেই ওজন বাড়বে।সত্যিই কি ডিম খাওয়ার সঙ্গে মোটা হয়ে যাওয়ার সরাসরি যোগ রয়েছে?
বহুদিন পর্যন্ত ডিমকে ”শরীরের শত্রু” বলে প্রচার করা হয়েছে। একসময় মনে করা হতো, ডিমের কুসুমে কোলেস্টেরল বাড়ে। কিন্তু আধুনিক গবেষণা প্রমাণ করেছে, এ ধারণা ভিত্তিহীন। ডিমের কুসুম খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে।
কোলেস্টেরলের সমস্যার কথা যদি ভাবেন, ডিম সেখানে কোন ক্ষতির কারণ নয়। বরং যে ক্ষতিকর তেল বা স্যাচুরেটেড ফ্যাট দিয়ে ডিম রান্না করছেন সেটা সমস্যা।
পুষ্টিগুনে ভরপুর ও প্রোটিনের সবচেয়ে সস্তা উৎস হল ডিম। প্রতিদিন সকালের ডিম খাওয়া ভাল। এটি সত্য যে ডিমের কুসুমে কোলেস্টেরল আছে। কিন্তু রক্তের কোলেস্টেরলের উপর এর সরাসরি কোন প্রভাব নেই। ডিমের কুসুম আমাদের রক্তে গুড কোলেস্টেরলে বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ডিমে রয়েছে উচ্চমানের প্রোটিন যা মস্তিষ্ক এবং পেশী গঠনে সাহায্য করে। একই সাথে ডিমে আছে এমন কিছু অ্যামিনো এসিড যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
সব ডিমেই যে একই পরিমাণ ক্যালোরি থাকে, তা নয়। বড় মাপের ডিমে প্রায় ৯০ ক্যালোরি থাকে। যেখানে মাঝারি বা ছোট মাপের ডিমে ক্যালোরির মাত্রা হয় প্রায় ৭০। তাই ডিম খেলেই শরীরে ক্যালোরি মাত্রা বৃদ্ধি পাবে, এমনটা ভেবে নেয়ার কোনও কারণ নেই। সাধারণত ডিমের কুসুমে ৫৫ ক্যালোরি থাকে, যেখানে সাদা অংশ খেলে শরীরে মাত্র ১৭ ক্যালোরির প্রবেশ ঘটে। প্রতিদিন ডিম খেলে শরীরে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যামাইনো অ্যাসিডের ঘাটতি দূর হয়। ফলে নানাবিধ রোগের হাত থেকে শরীর রক্ষা পায়। সেই সঙ্গে মহিলাদের অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে। কারণ ডিমে উপস্থিত বেশ কিছু পুষ্টিকর উপাদান হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।