শ্রীলঙ্কার ঝড় তোলা ব্যাটিংয়ে মাত্র তিন ওভারেই তুলে নিয়েছেন দুই ওপেনার ওশাদা ফার্নান্দো ও দিমুথ করুনারাত্নে। যার সুবাদে ১০ উইকেটের বড় জয়ে সিরিজও।
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ চট্টগ্রামে সমানে সমান লড়ে করে ড্র করেছিলো বাংলাদেশ। তবে মিরপুরে সেই ধারা অব্যহত রাখতে পারেনি মুমিনুল বাহিনী। উল্টো ভয়াবহ ব্যাটিং ব্যর্থতায় মিলেছে ১০ উইকেটের পরাজয়।
দুই ম্যাচের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সিরিজটি ১-০ ব্যবধানে জিতে নিল লঙ্কানরা। চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম ম্যাচ ড্রয়ে শেষ হয়। হোম অব অব ক্রিকেট খ্যাত মিরপুরে ২৩ ম্যাচে এটি বাংলাদেশ দলের ১৪তম হার। সব মিলিয়ে ঘরের মাঠে এটি ৬৯ টেস্টে ৪৫তম পরাজয়।
লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের লড়াকু সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৩৬৫ রানের সংগ্রহ পেয়েছিলো বাংলাদেশ। জবাবে সেঞ্চুরি হাঁকান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ও দিনেশ চান্দিমাল। অলআউট হওয়ার আগে শ্রীলঙ্কা পায় ৫০৬ রানের সংগ্রহ, লিড দাঁড়ায় ১৪১ রানের।
দ্বিতীয় ইনিংসেও ভয়াবহ ব্যর্থতার পরিচয় দেন। সাকিব আল হাসান ও লিটন দাসের ফিফটির পরও ১৬৯ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। মাত্র ২৯ রানের লক্ষ্য পায় শ্রীলঙ্কা। ওশাদার ৯ বলে ২১ রানের ঝড়ে তিন ওভারেই ম্যাচ জিতে যায় শ্রীলঙ্কা।
পঞ্চম দিনের শুরুতে মুশফিককে নিয়ে ভালো শুরুর আশ্বাস দিচ্ছিল লিটন। তবে প্রথম ইনিংসে ১৭৫ রানে অপরাজিত থাকা মুশফিক দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ২৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এরপরই হারের শঙ্কা জাগে। কিন্তু মধ্যাহ্ন বিরতির আগ পর্যন্ত দারুণ ব্যাটিং করে যান সাকিব ও লিটন দুইজনই তুলে নেন ফিফটি। সাথে লিটন ছুঁয়ে ফেলেন টেস্টে দুই হাজার রানের মাইলফলক।
প্রথমে লিটন ফার্নান্দোর কাছে ক্যাচ তুলে নিয়ে পতনের শুরু করেন। তখন দলের রান ছিল ১৫৬। আর ফার্নান্দো ভাঙ্গেন সাকিব-লিটনের ১০৩ রানের জুটি।
এরপর সাকিব ৫৮ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলে বাংলাদেশের হারটা সময়ের ব্যাপার হয়ে যায়। ১৫৬ রানে যেখানে ছিল ৫ উইকেট, এরপর মাত্র ১৩ রান তুলতেই বাকি ৫ উইকেট হারিয়ে বসে টাইগাররা। দ্বিতীয় ইনিংসেও নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি মোসাদ্দেক হোসেন। প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন মাত্র ৯ রানে।