ফিলিস্তিনের একটি তদন্ত রিপোর্টে বলা হচ্ছে যে, আল-জাজিরার সাংবাদিক শিরীন আবু আকলাকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করেছেন ইসরায়েলের এক সেনা সদস্য। তদন্তের ফলাফল ঘোষণা করে ফিলিস্তিনের অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘হত্যা করার উদ্দেশ্যে দখলদার বাহিনী গুলি করেছিল।’
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেছেন। এ রিপোর্টকে তিনি ‘পরিষ্কার মিথ্যা’ বলে বর্ণনা করেছেন। শুক্রবার বিবিসি এ খবর জানায়।
রামাল্লাহ শহরে এক সংবাদ সম্মেলনে ফিলিস্তিনের অ্যাটর্নি জেনারেল আকরাম আল-খতিব বলেন, যে বুলেট দ্বারা শিরীন আবু আকলাকে হত্যা করা হয়েছে, সেটি ৫ দশমিক ৫৬ এমএম এবং এর চারপাশ স্টিলের আবরণ দিয়ে ঢাকা। সাধারণত ন্যাটো বাহিনী এ ধরণের বুলেট ব্যবহার করে।
ফিলিস্তিনের অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, তদন্তে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে সাংবাদিক শিরীন আবু আকলা যখন পালিয়ে যাচ্ছিলেন তখন একজন ইসরায়েলি সেনা তাকে সরাসরি গুলি করে।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সাংবাদিক শিরীন আবু আকলা যে জায়গাটিতে গুলিবিদ্ধ হন, সেখানে কোন গোলাগুলি হয়নি, কোন পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেনি। এগুলো ইসরায়েলি বাহিনীর দিক থেকে এসেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ফিলিস্তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আবু আকলা যে জায়গাটিতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, সেখানে একটি গাছেও গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। গুলি যে উচ্চতায় আঘাত করেছে, সেটি দেখে বোঝা যাচ্ছে,আবু আকলার দেহের উপরের অংশে টার্গেট করেছিল বন্দুকধারীরা। তবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ রিপোর্ট খারিজ করে দিয়েছেন।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীও সাংবাদিক শিরীন আবু আকলা হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে। তারা বলছে, ফিলিস্তিনি জঙ্গিরা হয়তো তাকে গুলি করেছে।
গত ১১ই মে ইসরায়েলের দখলকৃত পশ্চিম তীর এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর একটি অভিযানে সংবাদ সংগ্রহের সময় ৫১ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি-মার্কিন সাংবাদিক শিরীন আবু আকলা গুলিতে নিহত হন।
এ ঘটনার পর ব্যাপক নিন্দার ঝড় ওঠে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ইসরায়েলি বাহিনী এ গুলি চালিয়েছে, যদিও ইসরায়েল সেটি অস্বীকার করছে।
ইসরায়েল বলছে, এই বুলেট কোথা থেকে এসেছে সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কারণ, যে গুলিতে শিরীন আবু আকলা নিহত হয়েছেন, সেটি পরীক্ষা করতে চাইলে ফিলিস্তিনিরা সেটি করতে দেয়নি, কিংবা তারা যৌথ তদন্তেও রাজি হয়নি।