নিজস্ব সংবাদদাতা, মেটেলিঃ হরিণ উদ্ধার করেও বাঁচানো গেল না!
আবারো জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসলো বন্যপ্রাণী। এবার লোকালয় থেকে উদ্ধার হল একটি হরিণ।ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকের মাথাচুলকা এলাকা থেকে উদ্ধার একটি হরিণ। তবে হরিণটির পায়ে আঘাত থাকায় সেটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, বুধবার সাতসকালে মেটেলি ব্লকের মাথাচুলকা এলাকার একটি বেসরকারি রিসর্টের পিছনে একটি হরিণকে ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। হরিণ দেখতে পেরে স্থানীয়দের ভিড় দেখা যায়। ভিড় দেখে সেখানে ছুটে যান রিসর্টের কর্মীরা। মানুষের ভিড় দেখে হরিণটির ছোটাছুটি বেড়ে যায়। এরপর রিসোর্টের কর্মীরা সেই হরিণটিকে ধরে রিসোর্টে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে খবর দেওয়া হয় খুনিয়া রেঞ্জের বনকর্মীদের। এদিকে দেখা যায় হরিণের পায়ে যথেষ্ট ক্ষত রয়েছে এবং সেখান থেকে যথেষ্ট রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাই হরিণটিকে উদ্ধারের পর প্রাথমিক চিকিৎসা চালান রিসর্টের কর্মীরা। তবে বনদপ্তর এর কর্মীরা আসার আগেই মৃত্যু হয় হরিণটির।
এ বিষয়ে রিসোর্টের মালিক শেখ জিয়াউর রহমান বলেন,”আজকে সকালে একটি হরিণকে রিসোর্টের পিছনে দেখা যায়। এরপর মানুষের ভিড় জমে গেলে সেখান থেকে হরিণটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে রিসোর্টের কর্মীরা। আমরা খুনিয়া রেঞ্জে খবর দেই। আমি দেখতে পাই হরিণটির পায়ে যথেষ্ট ক্ষত রয়েছে এবং সেখান থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।তাই প্রাথমিকভাবে আমরা তার চিকিৎসা করার চেষ্টা করি, তবে হরিণটিকে বাঁচাতে পারিনি।”
প্রাথমিকভাবে অনুমান সম্ভবত পার্শ্ববর্তী গরুমারা জঙ্গল থেকেই হরিণটি লোকালয়ে চলে আসে। এবং ছোটাছুটি করার কারণে হয়তো হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে হরিণটির মৃত্যু হয়েছে। পরবর্তীতে খুনিয়া রেঞ্জের বনকর্মীরা হরিণটিকে লাটাগুড়ি প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন।সেখানেই ময়না তদন্তের পর জানা যাবে ঠিক কি কারণে হরিণটির মৃত্যু হয়েছে।