নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়িঃ জাতীয় বাস্কেটবল খেলোয়াড় সুযোগ পেয়েও কোন সরকারি কাজ মেলেনি,তাই অন্যর জমিতে শাক ফলিয়ে কোন রকম অতি কষ্টের মধ্যে দিনযাপন করছেন সেই জাতীয় বাস্কেটবল খেলোয়াড়।
জাতীয় পর্যায় খেলে অসংখ্য পুরুস্কার সংশয়পত্র পেয়েও এখন অভাব অনাহারে জীবন যাপন করছেন জলপাইগুড়ি শহরের এক খ্যাতনামা জাতীয় বাসকেট খেলোয়াড় চন্দু। চন্দু দাসের বাড়ি রাজবাড়ী পাড়া এলাকায়। তার মা একটি বেসরকারি নাসিং হোমে আয়ার কাজ করেন। যদিও সেই কাজ সব সময়ে থাকেনা।চন্দু নিজে পরিবারের এই অবস্থা দেখে শহরের বিভিন্ন দোকানে কাজ করতো। কিন্তু লকডাউনের পর সেই কাজ ও হারিয়ে গেছে। বাধ্য হয়ে অন্যর জমিতে কিছু শাকসবজি চাষ করে সেটা বাজারে বিক্রি করে সংসারের কিছু টা হাল ধরেছেন। যদিও এই অবস্থায় সে আর নিজের খেলার প্রশিক্ষণ নিতে পারেনি। এক সময়ে ডিএম থেকে উচ্চ পদস্থ ব্যাক্তির হাত থেকে অসংখ্য পুরুস্কার পেলেও এখন তার কাছে এই গুলো মূল্যহীন। কারণ কোথার থেকেও কোন ধরনের কাজ চাকরি সে পাইনি।
তাই এখন হতাশায় দিন যাপন করছেন চন্দু। তাই সে কিছু সাহায্যর আবেদন করেছে যাতে তার এই কঠিন পরিস্থিতি তে কোন ধরনের কাজ কেউ দিলে তার পরিবারের সংসারটা বেঁচে যাবে। পাশাপাশি সে আবার খেলার জগৎ এ প্রবেশ করতে পারবে। চন্দু2007 সালে জেলা শাসকের হাত থেকে সংশয়পত্র নিয়েছিল। জাতীয় খেলায় জুনিয়র থেকে সাবজুনিয়র রাজ্য থেকে জেলা জাতীয় সব খেলাতে জিতেই সুনাম এনেছিল চন্দু। তবুও কোন কিছুই সুযোগ না মেলায় তার শরীরে এখন খাবারের অভাবে অপুষ্টি এবং কাজের অভাবে অনাহার দিন কাটছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে বলেন তার কোচ সুব্রত রায়।