প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের সমালোচনা করতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে ইরাক আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়েছেন। পরে অবশ্য তিনি তার এ বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বলেন, বার্ধক্যজনিত কারণে এটি ছিল একটি স্খলন। বৃহস্পতিবার রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি এ খবর জানিয়েছে।
গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে বক্তৃতা দেয়ার সময় জর্জ ডব্লিউ বুশ ইন্সটিটিউট দ্বারা আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার ও তার নির্দেশে গত ফেব্রুয়ারির শেষদিকে ইউক্রেন সেনা পাঠানোর সমালোচনা করেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশ।
তিনি বলেন, ‘রাশিয়ায় যাচাই ও ভারসাম্যের অনুপস্থিতি এবং ইরাকে এক ব্যক্তির সম্পূর্ণ অন্যায্য এবং নৃশংস আক্রমণ শুরুর সিদ্ধান্ত, আমি ইউক্রেন বলতে চাচ্ছি।’ তার এ বক্তব্যে দর্শকরা অট্টহাসিতে ফেঁটে পড়েন। এ পরিস্থিতিতে তিনি আবার বিড়বিড় করে বলতে থাকেন ‘ইরাক’। পরে এ ভুলের জন্য নিজের বয়সকে দায়ী করেন বুশ। তিনি বলেন, ‘আমার বয়স এখন ৭৫।’
বুশ ইউক্রেনের নেতৃত্বের প্রশংসা করতে থাকেন। তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রশংসা করে তাকে ‘একবিংশ শতাব্দীর (উইনস্টন) চার্চিল’ বলে আখ্যায়িত করেন। চার্চিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাজ্যের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
২০০৩ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ ইরাকে আগ্রাসন শুরু করেন। এই আগ্রাসনের কিছুদিন পরই বাগদাদে সাদ্দাম হোসেন সরকারের পতন হয়। ইরাক বডি কাউন্ট প্রকল্পের তথ্য অনুসারে, ওই যুদ্ধে প্রায় ৪ হাজার ৫০০ মার্কিন সেনা এবং ২ লাখ ৯ হাজার বেসামরিক লোক নিহত হয়েছিলেন।
রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতাচ্যুত করার আগে বুশ প্রশাসন বারবার দাবি করেছিল যে, ইরাক সরকারের কাছে গণবিধ্বংসী অস্ত্র রয়েছে। এ দাবিগুলো পরে ভুল প্রমাণিত হয়।