সকালটা যেহেতু নানা কাজের মধ্য দিয়ে কাটাতে হয়, তাই আরামদায়ক ও কাজ করতে সুবিধা হয় এমন পোশাক বেছে নেয়া ভালো। এ ক্ষেত্রে সালোয়ার-কামিজ হতে পারে ভালো পছন্দ। সকালের পর্বের জন্য একটু রংচঙে সালোয়ার-কামিজ পরুন। উজ্জ্বল রঙের পোশাকের সঙ্গে পরিমিত সাজ দেখতে ভালো লাগবে।
জিনস, টপস অথবা আরামদায়ক কুর্তিও বেছে নিতে পারেন সকালের পোশাক হিসেবে। এ সময়ে গুছিয়ে চুল বেঁধে নিন। যদি সকালেই গোসল সেরে ফেলেন তাহলে চুল খোলা রাখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে স্ট্রেইট করে আয়রন করে নিলে ভালো দেখাবে। ওয়াটারপ্রুফ হালকা বেজের সঙ্গে চোখে ন্যুড লুক দিতে পারেন। চোখে কাজল টেনে দিতে পারেন।
দুপুরের সাজে আনতে পারেন একটুখানি ভিন্নতা। স্নিগ্ধ ও অভিজাত এই দুটির মাঝামাঝি লুক দুপুরের সাজে বেশি মানানসই। মেকআপ তো করতেই হবে। বাড়িতে অতিথি আসার কথা থাকলে দুপুর থেকে বিকেলের সাজে লেহেঙ্গা ও গাউন-জাতীয় পোশাকে অভিজাত দেখাবে। যে পোশাকই পরুন তার সঙ্গে মিলিয়ে মেকআপ করুন। দুপুরের সাজের জন্য শুধু ফেস পাউডার দিয়ে বেজ মেকআপ করে নিন। মুখের দাগ ঢাকতে কনসিলার ব্যবহার করতে পারেন।
চোখে পাউডার আইশ্যাডোর বাদামি শেড ব্যবহার করতে পারেন। চোখের কোলে হালকা কাজল এবং চোখের ওপরে চিকন করে আইলাইনারের রেখা এঁকে দিন। মাসকারার কথা কিন্তু ভুলবেন না। গ্লসি বা শিমারিং লিপস্টিক এড়িয়ে ম্যাট বা ক্রিম বেজড লিপকালার ব্যবহার করুন। হালকা সাজের সঙ্গে লাল, মেরুনসহ যেকোনো গাঢ় রঙের লিপস্টিক হলেও মানাবে বেশ। ন্যুড লিপস্টিক যেকোনো মেকআপ লুকের সঙ্গে মানানসই। এ জন্য সিম্পল টু গর্জিয়াস যেকোনো লুকের জন্য ঠোঁটে ন্যুড লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন।
রাতে গরম পরিবেশ অনেকটাই কমে আসে। সারা দিনের ধকলটাও তেমন থাকে না। আর রাত মানেই তো জম্পেশ সাজ! দিনের অন্য দুই বেলার সাজের সঙ্গে রাতের সাজে পার্থক্য রাখুন। চোখে স্মোকি টোন, কার্ল করা চুল আর ভারী গয়নার সাজে তুলে আনুন নিজের ভেতরকার অভিজাত লুক। চোখের নিচের পাশ দিয়ে কালো, বাদামি, গাঢ় রঙের আইশ্যাডো দিতে পারেন। চোখের নিচে পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে কাজল দিন। ওপর দিয়ে টেনে আইলাইনার লাগিয়ে দিন। প্রতীকী ছবি।