ক্রিকেট ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন রাজনীতির মঞ্চে। প্রধানমন্ত্রী হয়ে ধরেছিলেন দেশের হাল।
পাকিস্তানের প্রাক্তন হওয়া প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ক্রিকেটের মাঠে যতটা সফল ছিলেন, রাজনীতির মাঠে এসে ঠিক ততটা সফল তো হতে পারেননি, বরং হয়েছেন পাকিস্তানের ৭৫ বছরের ইতিহাসে অনাস্থা ভোটে পদ হারানো প্রথম প্রধানমন্ত্রী।
এই অধিনায়কের ক্ষমতা হারানোর পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড নিয়েও আলোচনা উঠে আসছে অবধারিতভাবেই। সেই আলোচনার কেন্দ্রে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) বর্তমান প্রধান রমিজ রাজা। ইমরান খানের চাওয়াতেই এই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানকে ক্রিকেট ধারাভাষ্যের মঞ্চ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে পিসিবির দায়িত্ব তুলে দেয়া হয়। ইমরান খানের ক্ষমতা হারানোর পর তার বন্ধু রমিজ রাজা পিসিবির সেই দায়িত্বে বহাল থাকবেন কিনা তা নিয়েই দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।
রমিজ রাজার দায়িত্বে থাকা নিয়ে সংশয়ের প্রধান কারণ পাকিস্তানের রাজনীতি ও ক্রিকেট একে অপরের সাথে প্রচন্ড ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত থাকা। পদাধিকার বলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চিফ প্যাট্রনও হয়ে থাকেন দেশটির প্রধানমন্ত্রীই। ইমরান খানের সরকার পরিবর্তনে তাই আবারও রদবদল আস্তে পারে ক্রিকেট বোর্ডের নেতৃত্বেও এমন শঙ্কা হওয়াটাই স্বাভাবিক।
পিসিবি প্রধানের দায়িত্ব নেয়ার পর অবশ্য পাকিস্তানের ক্রিকেটে নতুন প্রাণের জোয়ার এনেছিলেন রমিজ। পাকিস্তানের রাজনীতির মতোই অনেকদিন ধরে ভুগতে থাকা ক্রিকেটকেও জাগিয়ে তুলেছিলেন নতুন করে। গত বছরখানেকের পাকিস্তানের মাঠের পারফরম্যান্সই কথা বলে তার রমিজের পক্ষে। তবে কাজে সফলতা যতই আসুক, পাকিস্তানের ওই রাজনীতি আর ক্রিকেট যে সহোদর ভাইয়ের মতোই আচরন করে সবসময়।
এজন্যই নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ রমিজ রাজা বোর্ডে থাকবেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কা থেকে যাচ্ছে যথেষ্টই। ধারাভাষ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকা রমিজ রাজাকে ক্রিকেট প্রশাসনে নিয়ে আসার মূল কারিগরই যে ইমরান খান। প্রধানমন্ত্রীর একান্ত চাওয়াতেই গত সেপ্টেম্বরে পিসিবির দায়িত্বভার নেন রমিজ রাজা। দায়িত্বের মেয়াদ তিন বছর হলেও বর্তমান অবস্থায় এক বছরও তিনি টিকে থাকেন কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।
এদিকে পাকিস্তানের পত্রিকা ডেইলি এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হবে বা তেমন কিছু ধারণা করতে পারলে নিজেই দায়িত্ব থেকে সরে দাড়াবেন রমিজ রাজা। ফাইল ছবি-টুইটার