অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, রাশিয়ার চার কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হচ্ছে। তারা তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। চলতি সপ্তাহে ইউরোপের বেশ কিছু দেশও এমন পদক্ষেপ নেয়। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হলো অস্ট্রেলিয়া।
সম্প্রতি ফ্রান্স, ইতালি বা জার্মানি বলেছে যে, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলাকে কেন্দ্র করেই তারা এমন পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে অস্ট্রেলিয়ার মুখপাত্র আলেক্সান্ডার স্কালেনবার্গ অবশ্য এমন কিছু জানাননি।
তিনি জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ায় রাশিয়ার দূতাবাসে নিযুক্ত তিন কূটনীতিক এবং সাল্জবার্গের এক কূটনীতিককে আগামী ১২ এপ্রিলের মধ্যে দেশ ত্যাগ করতে হবে।
এর আগে ৬৭ রুশ নাগরিকের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে অস্ট্রেলিয়া।পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেরিস পেইন বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) জানিয়েছেন, ইউক্রেনে মস্কোর আক্রমণকে কেন্দ্র করেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এক বিবৃতিতে মেরিস পেইন বলেন, রাশিয়ার ৬৭ জন অভিজাত নাগরিক ও ধনকুবেরের বিরুদ্ধে আজ আমি নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করছি। এরা সবাই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ। তারা ইউক্রেনে হামলার মতো জঘন্য কর্মকাণ্ডে সহায়তা করেছেন এবং সমর্থন করছেন।
ইউক্রেনে হামলার পর থেকেই বিভিন্ন দেশের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে মস্কো। একের পর এক বিভিন্ন দেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। রাশিয়ার ওপর দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রও। সম্প্রতি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দুই মেয়ের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন।
নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পুতিনের দুই মেয়ে মারিয়া ভরোন্তোসভা ও ক্যাটেরিনা টিখোনোভাসহ রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের স্ত্রী ও মেয়ে এবং রুশ নিরাপত্তা কাউন্সিলের সদস্যরাও রয়েছেন। এছাড়া নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাশিয়ার শীর্ষ সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকও রয়েছে।
বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানায়, এসব ব্যক্তিবর্গ রুশ জনগণের টাকায় নিজেদের সমৃদ্ধ করেছেন। তাদের মধ্যে অনেকে আবার ইউক্রেনে রুশ হামলাকে সমর্থন করছে। তাই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো।