Fruit: রোজায় সুস্থ থাকতে, খাদ্যাভ্যাস কি রকম হবে?

Published By: Khabar India Online | Published On:

 প্রতিদিন সকাল-দুপুর-রাত এই তিন বেলা খাবার খাই। রমজান মাসে আমরা সাধারণত শুধু সন্ধ্যা থেকে ভোর- এই সময়ের মধ্যেই খাবার খেয়ে থাকি। ফলে এসময় নিয়মের একটু পরিবর্তন আসে। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে এই সময়টা অবহেলা না করে একটু নজর দিতে হবে।

 সারাদিন কিছু না খেয়ে রোজা রাখা হয়। রমজান মাসে খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে একটু বেশিই সচেতন হতে হয়। একটু বুঝে শুনে খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।

রোজার মধ্যে ইফতার ও সেহেরীতে বেশি বেশি জল পান করা খুবই জরুরি। সারাদিন যেহেতু জল পান করা থেকে বিরত থাকে। দেহের জলশূন্যতা দূর করতে ইফতার ও সেহেরীতে পর্যাপ্ত জল এবং পানীয় খাদ্যদ্রব্য খাওয়া প্রয়োজন।

আরও পড়ুন -  Laxmir Bhandar: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প, নতুন সুবিধা এবং সম্প্রসারণের ঘোষণা

ইফতারে বিভিন্ন কোমল পানীয় বর্জন করুন। কোমল পানীয় গ্রহণ স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর। কোমল পানীয় এর পরিবর্তে বিভিন্ন ফলের জুস খাওয়া যেতে পারে। লেবু, আম, তরমুজ এর শরবত, ডাবের জল এক্ষেত্রে পছন্দের তালিকায় প্রথমে রাখতে হবে।

 ইফতারের জন্য তৈরি খাবারে যত কম তেল ও মশলা ব্যবহার করা যায় তত ভালো।

আরও পড়ুন -  জয়ের দেখা পেলো চারবারের চ্যাম্পিয়নরা, ভারতকে বিধ্বস্ত করে

 মজাদার কিন্তু স্বাস্থ্যকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। যেমন দই-চিড়ে, ইফতারিতে দই-চিড়ে পেট ঠাণ্ডা রাখে, দ্রুত এবং সহজে হজমে সাহায্য করে।  এতে রয়েছে এসিডিটি কমানোর ক্ষমতা, দই খুব সহজেই পরিপাক হয়। মাঝে মধ্যে দুধে ভিজানো চিড়ের সঙ্গে হালকা চিনি ও পাকা আমের টুকরো ইফতারে খেতে পারেন।

 আঁশযুক্ত খাবার হজম হতে দেরি হয়,তাই ক্ষিধে কম লাগে। ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া রমজানে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করার জন্য আঁশযুক্ত খাবার খুব দরকার। যেমন ঢেঁকি ছাটা চাল, সবুজ মটরশুঁটি, ছোলা, সবুজ শাক যেমন ডাঁটাশাক, পালং শাক, খোসাসহ এবং  উপযোগী ফল যেমন পেয়ারা, আপেল, নাশপাতি এবং শুকনা ফল খোরমা, খেজুর ইত্যাদি রাখতে পারেন।

আরও পড়ুন -  "সহজ এবং স্বাস্থ্যকর কুমড়ো ফুলের রেসিপি"

ইফতারিতে বেশি করে ফল খাওয়া উচিত। ফলে বিভিন্ন খনিজ বিদ্যমান থাকে তাছাড়াও থাকে ভিটামিন ও ফাইবার ইত্যাদি। তাই এই রমজানে ইফতার এ একটি হলেও ফল রাখা খুব জরুরি। যতোটা সম্ভর ইফতারে তেল চর্বির খাবার বর্জন করুন।