ইউক্রেন পরিস্থিতিকে ‘বড় ধরনের ট্র্যাজেডি’ উল্লেখ করে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার বাজওয়া বলেছেন, দেশটিতে রুশ আগ্রাসন অবশ্যই ‘অতি দ্রুত’ বন্ধ করতে হবে।
শনিবার দ্য ডন অনলাইন এ খবর জানায়।
ইসলামাবাদে নিরাপত্তা আলোচনায় অংশ নিয়ে জেনারেল বাজওয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার বৈধ নিরাপত্তা উদ্বেগ সত্ত্বেও একটি ছোট দেশের ওপর আগ্রাসন ক্ষমার অযোগ্য।’
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান ক্রমাগতভাবে একটি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছে এবং সংঘাতের অবসান চাইছে। আমরা সংঘাতের স্থায়ী সমাধান খুঁজতে সব পক্ষের মধ্যে অবিলম্বে একটি সংলাপের সমর্থন করি।’
জেনারেল বাজওয়া জানান, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক; সেখানে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে, লাখ লাখ মানুষ শরণার্থী হয়ে পড়েছেন, সেইসঙ্গে ‘অর্ধেক ইউক্রেন ধ্বংস হয়ে গেছে’।
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান বলেন, সংঘাতটি ছোট দেশগুলোকে আশা দিয়েছে যে, তারা এখনো ছোট, কিন্তু দক্ষ বাহিনী দিয়ে একটি বড় দেশের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নির্বাচিত (যুদ্ধ) সরঞ্জামের আধুনিকীকরণের মাধ্যমে তাদের এলাকা রক্ষা করতে পারবে।
তিনি উল্লেখ করেন যে, ইউক্রেনের স্বাধীনতার পর থেকে দেশটির সঙ্গে চমৎকার প্রতিরক্ষা ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক উপভোগ করেছে পাকিস্তান। তবে রাশিয়ার সঙ্গে বহুদিন যাবৎ অনেক কারণেই সম্পর্ক ছিল ‘শীতল’। তথাপি সম্প্রতি রাশিয়ার সঙ্গে কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।
পাকিস্তান বিমান বাহিনীর মাধ্যমে ইউক্রেনে সহায়তা পাঠিয়েছে এবং এ সহায়তা অব্যহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
এই সময় পাকিস্তানের সেনাপ্রধান বাজওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘ ও কৌশলগত সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেছেন।
এর আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেন।
ইমরান খান সরকার রুশ ঘনিষ্ট হিসেবে ইতোমধ্যে পরিচিত হয়ে উঠেছে। গত ফেব্রুয়ারির শেষদিকে ইউক্রেনে যখন রুশ আগ্রাসন শুরু হয়, তখন রাশিয়া সফর করছিলেন ইমরান।
এ ছাড়া জাতিসংঘের ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে যে প্রস্তাব আনা হয়েছিল, সেটিতে ভোট দেয়া থেকেও বিরত ছিল ইমরানের পাকিস্তান। ছবি: দ্য ডন অনলাইন।