শেষবারের মতো অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায় কে নিয়ে যাওয়া হয় টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে। সেখানে কিছুক্ষণের জন্য তার দেহ শায়িত রাখা হয় তারপর সেখান থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। অভিনেতার নশ্বর দেহ আগলে পড়েছিলেন সারাটা সময় তার শোকে নিথর স্ত্রী এবং ১২ বছরের কন্যা।
View this post on Instagram
তার শেষ যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন তার পর্দার রিল লাইফের কন্যা গুনগুন অর্থাৎ তৃণা সাহা। তৃণা যেন অভিনেতার মরদেহ দেখে আরও বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন। হাসিখুশি মানুষটিকে এভাবে দেখতে ভালো লাগে না তার।
অভিনেতার নিথর দেহ থেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন তৃণা। পাশে থাকা ঐন্দ্রিলা তাকে সামলান।
View this post on Instagram
পর্দার ড্যাডিকে হারিয়ে পিতৃহারার মতন অনুভূতি তার। ওই দিন সকালেই খবর পেতেই অভিনেতার আনোয়ার শাহ রোডের ফ্ল্যাটে হাজির হন তৃণা। সেখানে সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান যে,সিরিয়ালে যেমন অভিষেক চট্টোপাধ্যায় তাঁর ড্যাডি ছিলেন বাস্তবেও বাবার থেকে কিছু কম ছিলেন না। গত পরশু ভীষণ রকম শরীর খারাপ নিয়ে তিনি খড়কুটোর সেটে হাজির হন। উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা ছিলনা তার। তবুও একজন জাত অভিনেতা হিসেবে তিনি তাঁর নিজের পরিচয় রেখেই যান। কাঁপতে কাঁপতে শট দেন তিনি। তৃণা বারবার অভিষেক চট্টোপাধ্যায়কে সাবধানে থাকতে বলেছিলেন।
গতকাল রাত্রে তৃণা ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। যেই ভিডিও খড়কুটোতে গুনগুন এবং তার ড্যাডির নানা মুহূর্তের কোলাজ। সেই ভিডিও পোস্ট করে তৃণা ক্যাপশনে লেখেন,“ কখনো ভাবিনি আবার ফিডে আমার ড্যাডি এভাবে থাকবে। আমার মনে হয় না আমি কোনদিনও কাউকে আর ড্যাডি বলে ডাকতে পারব। আমি তোমায় সব সময় মিস করব। আমি আশা করব তুমি সব সময় আমার দিকে তাকিয়ে হাসবে এবং বলবে তুমি তো আমার আমার আরেকটা মেয়ে।”
View this post on Instagram
অভিনেতার বিদায়ে উপস্থিত ছিলেন অগুনতি তারকা। তার হাজার হাজার অনুরাগীরা।