টানা ১৫ ম্যাচ ধরে অপরাজিত থেকে রীতিমতো উড়ছিল ম্যানচেস্টার সিটি। তাদের জয়যাত্রা থামিয়ে দিলো টটেনহ্যাম হটস্পার। শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে একদম শেষ মুহূর্তের গোলে সিটির বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে জিতেছে অ্যান্তনিও কন্তের শিষ্যরা।
ম্যান সিটির ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষেও স্কোরলাইন ছিল টটেনহ্যাম ২-১ ম্যান সিটি। সেখান থেকে অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে আরও একটি করে গোল দেয় দুই দল। শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন হ্যারি কেইন, হিউং মিন সনরা।
ম্যাচে বল দখলের লড়াইয়ে একচ্ছত্র আধিপত্য দেখিয়েছে ম্যান সিটি। প্রায় ৭২ শতাংশ সময় বল নিজেদের কাছে রাখে তারা। গোলের জন্য শটও করে ২১টি। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ৪টি ছিল লক্ষ্য বরাবর। বাকি সবই ছিল লক্ষ্যভ্রষ্ট।
সারা ম্যাচ জুড়ে মাত্র ৬টি শট করলেও, এর মধ্যে পাঁচটিই ছিল লক্ষ্য বরাবর। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই দলকে এগিয়ে দেন দেজান কুলুসেভস্কি। প্রথমার্ধের বিরতির আগেই ৩৩ মিনিটের সময় ইল্কায় গুন্ডোগানের গোলে সমতায় ফেরে ম্যান সিটি।
পরে দ্বিতীয়ার্ধে ৫৯ মিনিটের সময় দলকে এগিয়ে দেন টটেনহ্যাম অধিনায়ক হ্যারি কেইন। মনে হচ্ছিল তার গোলেই জিতে যাবে টটেনহ্যাম। কিন্তু অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে পেনাল্টি থেকে আবার ম্যাচে সমতা ফেরান রিয়াদ মাহরেজ।
নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট বাকি থাকতে বার্নার্দো সিলভার শট ডি-বক্সের ভেতরে হাতে লাগে টটেনহ্যামের আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার ক্রিশ্চিয়ান রোমেরোর। ভিএআর দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সেখান থেকেই স্কোরলাইন ২-২ করেন মাহরেজ।
এই গোলের পরও পরাজয় এড়াতে পারেনি ম্যান সিটি। অতিরিক্ত যোগ করা সাত মিনিটের পঞ্চম মিনিটে প্রথম গোল করা কুলুসেভস্কির ক্রসে হেড দিয়ে গোল করে দলকে রোমাঞ্চকর এক জয় এনে দেন টটেনহ্যাম অধিনায়ক।
এ জয়ের পর ২৩ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে অবস্থান করছে হটস্পার। অন্যদিকে ২৬ ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে রয়েছে ম্যান সিটি। দুই নম্বরে থাকা লিভারপুলের সংগ্রহ ২৫ ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট।