বিজেপির সাথে দোস্তি করে কংগ্রস প্রধানকে অপসারিত করলো শাসকদল,ঘাসফুলকে বিজেমূল বলে কটাক্ষ কংগ্রেসের,পাল্টা তৃণমূল।
নিজস্ব সংবাদদাতা, চাঁচলঃ পৌর নির্বাচন আবহে রাজ্যজুড়ে তৃণমূল-বিজেপির কুস্তি দেখছে রাজ্যবাসী।কিন্তু গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে এই দুই দলের দোস্তি দেখলো মালদহের চাঁচলবাসী।চাঁচল-১ নং ব্লকের কংগ্রেস পরিচালিত মহানন্দাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আস্থা ভোটে প্রধান অপসারনে এমনই ঘটনা প্রকাশ্যে আসলো।এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ঘাসফুলকে বিজেমূল বলে তীব্র কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস।বিরোধীরা দলত্যাগ করে নির্দলে পরিণত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে।
উল্লেখ্য,১৫ আসনের মহানন্দাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কংগ্রেসের প্রধানকে অপসারণ করতে জোট বেধে অনাস্থা এনেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।বহু জল্পনার অবসান কাটিয়ে হাইকোর্টের রায়ে বুধবার তলবি সভা অনুষ্ঠিত হয়।এদিন প্রধান পক্ষ তলবি সভায় সংখ্যাগরীষ্ঠ না থাকায় অপসারিত হয় কংগ্রেসের প্রধান গোপাল চৌধূরী।তলবি সভা শেষে তৃণমূলের একাংশে উল্লাস ছড়ায় পঞ্চায়েতের বাইরে।এদিন তলবি সভা চলাকালীন পঞ্চায়েত চত্বরে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল।চাঁচল থানার আইসি সুকুমার ঘোষের নেতৃত্বে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী।অবশেষে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে তলবি সভা।
তবে তৃণমূল বোর্ড দখল করায় রাজনৈতিক পারদ আরোও চরমে উঠলো।উল্লেখ্য,ওই পঞ্চায়েত মোট আসন সংখ্যা ১৫ টি।গত ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩ টি আসন পেয়েছিল তৃণমূল,বিজেপি ২,সিপিআইএম ২,কংগ্রেস ৭ ও একটি নির্দল জয়ী হয়েছিল।তৎকালীন সময় সংখ্যাগরীষ্ঠতার বিচারে জাতীয় কংগ্রেস বোর্ড গঠন করে।প্রধান পদে আসীন হন কংগ্রসের গোপাল চৌধূরী ও উপপ্রধান হন নির্দলের মহবুল হক।
কিন্তু উপপ্রধান অন্যান্য পঞ্চায়েত সদস্যদের অভিযোগ,প্রধান একনায়ক তন্ত্র প্রয়োগ করে পঞ্চায়েত পরিচালনা করছিলেন।সদস্য অন্ধকারে রেখে কাজ করছিলেন।পঞ্চায়েতের উন্নয়ন মূলক প্রকল্পে কাটমানি নিয়ে নিম্ন মানে কাজ করতেন।যার ফলে গত তিনবছরে এলাকায় কোনো উন্নয়ন ঘটেনি।
তাই আমরা অনাস্থা আনি।যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন
কংগ্রেসের অপসারিত প্রধান গোপাল চৌধুরী।
তৃণমূল বিজেপির সঙ্গে ঘর করলো।এটাতে স্পষ্ট ঘাসফুল মানেই বিজেমূল।এমনটাই কটাক্ষ ছুড়েছেন চাঁচল-১ নং ব্লক কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক আতাউর কাজি।
চাঁচল-১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহসভাপতি দেবব্রত সিংহ দাবি করে বলেছন,বিজেপির সঙ্গে নয়!তৃণমূল নিজের শক্তিতে উৎখাত কংগ্রেসকে।পাশাপাশি ওই এলাকার মহানন্দা নদীতে বিসর্জন গেল কংগ্রেসের বোর্ড।যারা বিরোধী ছিল তারা সকলেই দলত্যাগ করেছে এবং তৃণমূল যোগ দিবে বলে দাবি করা হয়েছে।
মিথ্যে মামলা ও অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে বিজেপির দুই ও পঞ্চায়েত সদস্যকে জোরপূর্বক অনাস্থায় আনা হয়েছে।এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি।যারা দল বহির্ভূত কাজ করবে দল পদক্ষেপ করবে বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মালদা জেলা যুব মোর্চার সহসভাপতি সুমিত সরকার।