সজল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়িঃ গ্যাস সরবরাহ করার গাড়ি গুলির পিছু ধাওয়া করছে চোরের দল। সুযোগ পেলেই টোটোতে করে গ্যাস সিলিন্ডার তুলে পালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশকে জানিয়ে কোনও সুরাহা না হওয়ায় মাথায় হাত অসহায় ডেলিভারিম্যান দের।
প্রায় মাস খানেক ধরে জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন গ্যাস সরবরাহ কো অপারেটিভ সোসাইটি গুলি নতুন এক সমস্যার মুখে পড়েছে।
তাদের অভিযোগ ডেলিভারি ম্যানেরা যখন তাদের গাড়ি বা ভ্যান রিক্সো করে রান্নার গ্যাস বোঝাই সিলিন্ডার গুলি নিয়ে গ্যাস সরবরাহ করতে মানুষের বাড়ি বা ফ্ল্যাটে যাচ্ছে। ঠিক তখনই টোটো রিক্সো নিয়ে তাদের পিছু নিচ্ছে চোরের দল।
রাস্তায় ভ্যান রেখে ডেলিভারি ম্যানেরা যখন দোতালা বা তিন তলার ফ্ল্যাটে গ্যাস সিলিন্ডার পৌঁছে দিতে যাচ্ছে ঠিক তখনই সুযোগ বুঝে চোরের দল ভ্যানে থাকা সিলিন্ডার গুলির থেকে একটি বা দুটি করে গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে।
গত দেড় মাস ধরে জলপাইগুড়ি শহরের নিউটাউন পাড়া, পান পাড়া প্রভৃতি এলাকা থেকে বিভিন্ন কো অপারেটিভ সোসাইটি গুলির খালি ও ভর্তী মিলিয়ে ১২ টি গ্যাস সিলিন্ডার এই ভাবে খোয়া গেছে। এই গ্যাস সিলিন্ডার গুলির সিকিউরিটি মানি ও গ্যাসের দাম মেটাতে গিয়ে মাথায় হাত পড়েছে অত্যন্ত সল্প বেতনে কাজ করা ডেলিভারি ম্যানেদের।
অভিনব কায়দায় গ্যাস সিলিন্ডার চুরির কিনারা করতে গিয়ে সমস্যায় পুলিশ। কারন শহরের প্রচুর পরিমান সিসিটিভি ক্যামেরা খারাপ। তাই কার্যত অন্ধকারে সুত্র হাতাচ্ছে পুলিশ।
ডেলিভারি ম্যান বিষ্ণুপদ রায় বলেন এই অবস্থায় আমরা খুব বিপাকে পরেছি। কারন এই সিলিন্ডার গুলির দাম আমাদের মেটাতে হচ্ছে। আমরা মাইনে পাই মাত্র ৬২০০/- টাকা। এর থেকে একেকটি সিলিন্ডারের জন্য আমাদের থেকে ২৫০০/- টাকা করে কেটে নেওয়া হচ্ছে।
কো অপারেটিভ সোসাইটির সম্পাদক রতন সরকার বলেন আমরা ডেলিভারি ম্যানদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি তারা যখন গ্যাস সিলিন্ডার দিতে মানুষের বাড়ি যাচ্ছে তখন টোটো নিয়ে তাদের পিছু নিচ্ছে চোরের দল। সুযোগ বুঝে চেন কেটে সিলিন্ডার নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। আমরা বিষয়টি লিখিত আকারে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। কিন্তু এখোনও পর্যন্ত কোনও কিনারা হয়নি। এই অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের ডেলিভারি ম্যানেরা খুব অসুবিধায় পড়বে। কারন এদের থেকে সিলিন্ডারের টাকা নিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
ঘটনায় ডি এস পি হেডকোয়ার্টার সমীর পাল বলেন এই কায়দায় চুরির অভিযোগ আমরা আগে পাইনি। একেবারে নতুন কায়দায় চুরি। অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আমরা খতিয়ে দেখছি আরও কতগুলি সিলিন্ডার চুরি হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে শহরের কিছু সিসিটিভি ক্যামেরা খারাপ আছে। যদিও সেগুলির মেরামত শুরু হয়েছে।