নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে একের পর এক ফিচার যুক্ত করছে এসব সাইট। ছেলে-বুড়ো এখন সবারই সরব বিচরণ ফেসবুক থেকে ইনস্টাগ্রাম, স্নাপচ্যাট, ইউটিউবে।
এই সাইটগুলো শুধু আপনার বিনোদনের খোঁড়াক মেটাতেই নয়, আয়েরও মাধ্যম এগুলো। বাড়িতে বসেই অনলাইনে বিভিন্ন মানি আর্নিং অ্যাপ বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে কাজে লাগিয়ে রোজগার করা সম্ভব। বিশেষ কোনো ডিগ্রি না থাকলেও কেবলমাত্র হাতে একটি স্মার্টফোন এবং অ্যাক্টিভ ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই অনলাইনে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। আর এই কাজে সহায়তা করছে বেশ কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।
ফেসুবক
কনটেন্ট ক্রিয়েট করে ফেসুবক-এর মাধ্যমেও রোজগার করা সম্ভব। ব্যবহারকারীরা তাদের ফেসবুক পেজ তৈরি করে উপার্জন করতে পারেন। ব্যবহারকারীরা ফেসবুক পেজ করার পরে প্ল্যাটফর্মে তাদের কনটেন্ট শেয়ার করতে পারেন। শেয়ার করা কনটেন্ট ভালো ভিউ, লাইক পেলে এবং পেজ মনিটাইজ হলে এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকেও ভালোরকম অর্থ উপার্জন করা যায়।
স্নাপচ্যাট
স্নাপচ্যাট-এ কনটেন্ট বানিয়ে ও শেয়ার করে বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীরা প্রতিদিন ১ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৭.৫৭ কোটি টাকা) আয় করতে সক্ষম হচ্ছেন। এই অ্যাপের মাধ্যমে টাকা রোজগার করার জন্য ব্যবহারকারীদের শুধুমাত্র তাদের স্মার্টফোন ক্যামেরা ব্যবহার করে কনটেন্ট শেয়ার করতে হবে। ব্যবহারকারীরা অ্যাপের মাধ্যমে তৈরি করা কনটেন্ট বা স্ন্যাপ, স্পটলাইট-এ সাবমিট করে উপার্জন করতে পারেন। সবার চেয়ে সেরা স্নাপ শেয়ার করতে পারলে ব্যবহারকারীরা এই অ্যাপের মাধ্যমে অর্থ রোজগার করতে পারবেন।
ইউটিউব
গতবছর ইউটিউব-এ শর্টস নামক শর্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়েছে। কনটেন্ট ক্রিয়েটররা এখন ইউটিউব শর্টস-এ তাদের তৈরি করা শর্ট ভিডিও শেয়ার করতে পারেন। যেসব ব্যবহারকারীর ভিডিওগুলো সবচেয়ে বেশি ভিউ এবং লাইক পাবে, তাদের গুগল ভালোরকমের অর্থ প্রদান করবে। এর পাশাপাশি যেসব ইউটিউব চ্যানেলের কমপক্ষে ১২ মাসে ৪ হাজার ঘণ্টা ওয়াচ টাইম এবং ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার থাকবে। তারাও ইনকাম করতে পারবেন।
টুইটার
টুইটার অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এজন্য ব্যবহার করতে পারেন টিপস জার। টিপস পাঠানো বা রিসিভ করার জন্য অ্যান্ড্রোয়েড বা আইফোন ব্যবহারকারীরা এই ফিচারটি ব্যবহার করতে পারেন। টুইটারের এই ফিচারটি বর্তমানে বহু সংখ্যক ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত।
ইনস্টাগ্রাম
ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমেও ঘরে বসেই টাকা আয় করা সম্ভব। কনটেন্ট তৈরি করে এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এখান থেকে ইনকাম করা যেতে পারে। কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের দ্বারা শেয়ার করা ভিডিওর ভিউ যত বাড়বে, তার সঙ্গে তাদের ফলোয়ারের সংখ্যাও তত বাড়বে। এবং যাদের ফলোয়ারের সংখ্যা যত বেশি হবে, তত বেশি টাকা দিয়ে বিভিন্ন ব্র্যান্ড তাদের প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন দেওয়াবে।
এছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপ থেকেও আয় করা সম্ভব। শুধু ইচ্ছা থাকলেই আপনি অবসর বসে না থেকে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন ঘরে থেকেই।