সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে ঐ মহিলা সকলের কাছে বিচার চেয়ে এই ভিডিও বানিয়েছেন। নিজের পরিচয়ের খাতিরে তিনি জানিয়েছেন, তার নাম স্বাতী রায়। তিনি মদন মিত্রের বড় ছেলের স্ত্রী। ২০১৪ সালে বিয়ে হয় তাদের। তার কথায়, বিয়ের পর থেকেই তার স্বামীর আসল রূপ বেরিয়ে পরে। মদ্যপ অবস্থায় তিনি তাকে মারধোর করতেন প্রতিদিন। অবশ্য সেইসময় তার শশুর শাশুড়ি তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও বর্তমানে তিনি রোজ হুমকি পান। তারই বিচার চেয়ে সম্প্রতি তিনি একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে তার শশুরবাড়ির লোকজনের কাছ থেকে ও তার স্বামীর কাছ থেকে ক্রমাগত হুমকি পেতে থাকেন তিনি ও তার পরিবার। রীতিমতো শারীরিক এর পাশাপাশি মানসিক নির্যাতনও করা হচ্ছে তাকে। ২০১৯-এ এই সমস্ত বিষয় থেকে রেহাই পেতে তিনি নিজের বাপের বাড়ি চলে এসেছিলেন। তবে তাতে লাভের লাভ কিছুই হয়নি। প্রায় আড়াই বছর আলাদা থাকার পরেও এখনো তার স্বামী তাকে হুমকি দেন বলেই জানিয়েছেন এই মহিলা। এমনকি তিনি এও জানিয়েছেন তার কাছে সমস্ত প্রমান ও নথিপত্র রয়েছে। তার উপর হওয়া অত্যাচারের থেকে বাঁচতে তিনি এই ভিডিওটি করছেন বলেই জানিয়েছেন তিনি। তিনি সকলের কাছে বিচার চেয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, শশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়িতে চলে আসার সময় তিনি এক কাপড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন। পরে তাদের মানসিক নির্যাতনের কারণে তিনি আত্মহত্যা করারও চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তার একটি ছোট সন্তান থাকায় তিনি তারপর ঠিক করেন যা কিছু হয়ে যাক তার জন্য তাকে বেঁচে থাকতে হবে। তিনি একজন সাধারন মানুষের মত নিজে রোজগার করে, নিজের সন্তানকে নিয়ে ভালো থাকতে চান। কিন্তু সেটা তিনি পারবেন কিনা তা তিনি জানেন না। তাকে পালিয়ে পালিয়ে বাঁচতে হয়, ভিডিওর মাধ্যমে একথাও জানিয়েছেন তিনি। সকলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন সকলে জানে এই ভিডিওটি শেয়ার করেন যাতে তিনি অন্তত বিচার পান। রইল সেই ভিডিও।
এই প্রসঙ্গে মদন মিত্রকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, তিনি এইসব বিষয়ে বিশেষ খোঁজ রাখেন না। সারাদিন রাজনীতি আর নিজের কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকেন তিনি। তবে তিনি এও জানান, কোন মানুষ আইনের উর্ধে নয়। যদি কেউ সত্যিই অপরাধ করে থাকে তাহলে সে তার উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চয়ই পাবে।