চুলের সৌন্দর্য ধরে রাখতে আমরা নানান ধরণের প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকি। তাতে করে চুল সাময়িক সময়ের জন্য সৌন্দর্য ধরে রাখলেও পরে দেখা দেয় নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। শীতকালে ত্বকের সাথে সাথে চুলেও দেখা দেয় রুক্ষতা। নষ্ট হয় চুলের সজীবতা। এসময় খুশকির পাশাপাশি বেড়ে যায় চুল পড়া, চুলের আগা ফাটাসহ চুলের জটের সমস্যাও দেখা যায়।
শীতের এই সময়টাতে প্রাকৃতিক উপায়ে আপনি আপনার ঘরে বসেই নিতে পারেন চুলের যত্ন। এক্ষেত্রে আপনার ঘরে থাকা নানান উপাদানের দ্বারাই সেটি করতে পারবেন।
চুলের যত্নে মেহেদি, অ্যালোভেরা, আমলকি ইত্যাদির ব্যবহার অনেকেই করেছেন। আজ আপনাদের জানাবো আলুর দ্বারা কিভাবে নিতে পারেন চুলের যত্ন। আলুতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল। ফলে স্ক্যাল্প ভালো থাকে। যার ফলে চুলের নানা ধরনের সমস্যা দূর হয় দ্রুতই। তবে আলুর রস ব্যবহার করলেই হবে না, এটি ব্যবহারের সঠিক উপায়ও জানা চাই।
নতুন চুল গজানোর পরিমাণ বাড়লে বেড়ে যায় চুলের ঘনত্ব। এজন্য আপনাকে একটি ডিমের কুসুম ও দুই চা-চামচ মধুর সঙ্গে এককাপ আলুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর তা চুলে ও মাথার তালুতে ভালোভাবে মেখে ১৮-২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর মাইল্ড কোনো শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। প্রতি সপ্তাহে একবার এটা ব্যবহার করতে পারলে চুল ঘন, কোমল এবং সুন্দর হতে সাহায্য করবে।
শীতকালে ঠোঁট এবং পায়ের তালু ফাটার সাথে সাথে অনেকের চুলের আগা ফাটার সমস্যাও দেখা যায়। আমরা অনেকেই চুলের যত্নে নানান ধরনের কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকি। যা ব্যবহারের কারণে উল্টো চুলের আগা ফেটে যেতে পারে। তাই শীতের এই সময়টাতে চুলের যত্নে আলুর রস ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ আলুর রস চুলের আগা ফাটার সমস্যা সমাধানে কার্যকরী। এ ক্ষেত্রে পরিমাণমতো আলুর রসের সঙ্গে সামান্য লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে নিন। এরপর স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ২৫-৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর শ্যাম্পু করে ভালোভাবে চুল ধুয়ে নিন। এভাবে সপ্তাহে দুইবার এটি ব্যবহার করুন। এতে করে চুলের আগা ফেটে যাওয়া সমস্যার সমাধান পাবেন।
শীতকালে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে গেলে তার প্রভাব পড়ে আমাদের ত্বক ও চুলেও। বেড়ে যায় খুশকির পরিমাণ, স্ক্যাল্পও হয়ে যায় শুষ্ক। চুলের যত্নে তাই স্ক্যাল্পের আর্দ্রতা ধরে রাখাটা জরুরি। তাই চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে ব্যবহার করতে পারেন আলুর রস। তিন চা-চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে পরিমাণমতো আলুর রস মিশিয়ে নিন। এরপর তা স্ক্যাল্পে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। এরপর ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। সবশেষে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইবার এটি ব্যবহার করুন।