Delta-Omicron: বলছে হু, সংক্রমণের সুনামি আনছে ডেল্টা-ওমিক্রন

Published By: Khabar India Online | Published On:

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) সতর্ক করে বলেছে, বিশ্বে সংক্রমণের সুনামি হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে করোনার দুই ধরন ডেল্টা ও ওমিক্রন, যা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর অস্বাভাবিক চাপ প্রয়োগ করতে পারে। খবর আল জাজিরার।

হু এর মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বুধবার এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যে ডেল্টার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অতিসংক্রমণশীল ওমিক্রন সংত্রমণের সুনামি ডেকে আনছে।’

করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার প্রায় দুই বছর পূর্ণ হয়েছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি রূপে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়েছে ভাইরাসটি। সর্বশেষ যে ধরনটি সবচেয়ে প্রাণঘাতি হয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিল, সেটি ছিল ডেল্টা।

আরও পড়ুন -  করোনা মোকাবিলায় আসরে রেল পুলিশ, মাস্ক ছাড়া দেখলেই জরিমানা

ডেল্টার পর গত মাস থেকে সারা বিশ্বে ছাড়ায় ওমিক্রন। এটাকে অতিসংক্রমণশীল ধরন বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এটা বলাটা এখন খুব আগবাড়িয়ে হয়ে যাবে যে ওমিক্রন মারাত্মক সংক্রমণ ঘটায় না।

ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোতে ওমিক্রন প্রভাবশালী ধরন হিসেবে ছড়িয়ে পড়ছে।

হু বিশ্বব্যাপী টিকাকরণের যে লক্ষ্য নিয়েছিল, বিশ্বের ১৯৪টি দেশের মধ্যে ৯২টিই তা পূরণ করতে সক্ষম হয়নি।

আরও পড়ুন -  বাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজি-র জন্য সরকার আন্তর্জাতিক দামের বৃদ্ধি থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দিতে কার্যকরি মূল্য নির্ধারণ করে চলেছে

টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস আগামী জুলাইয়ের মধ্যে সব দেশকে তাদের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশকে টিকার আওতায় আনার জোর আহ্বান জানিয়েছেন।

বিশ্বে একদিনে ১৫ লাখ ৯৪ হাজার ৯৯৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সারাবিশ্বে একদিনে শনাক্তের এটা নতুন রেকর্ড। এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর ১০ লক্ষাধিক শনাক্ত হয়েছিলো।

একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৫৫ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৯৮ হাজার ১০১ জন। নতুন মৃত্যু নিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৪ লাখ ৩৮ হাজার ৩০৬ জনে।

আরও পড়ুন -  Omicron: জাপানে শনাক্ত হলো ওমিক্রন

বৃহস্পতিবার সকালে বৈশ্বিক পর্যায়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার আপডেট দেয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

একদিনে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৭০ জন এবং মারা গেছেন ১ হাজার ৭৭৭ জন।

দৈনিক সংক্রমণের হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের পরই ফ্রান্সের অবস্থান। দেশটিতে একদিনে সংক্রমিত হন ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯ জন। প্রতীকী ছবি: আল জাজিরা