আগস্ট মাসের ৪ তারিখে ঢাকার বনানী এলাকার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পরীমণিকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশের পুলিশ। বেশ কয়েকদিন জেলে থাকার পর ১লা সেপ্টেম্বর জামিনে ছাড়া পান। বর্তমানে স্থায়ী জামিন পেয়েছেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী পরীমণি।
বাংলাদেশে বিতর্কের বরাবর থাকেন অভিনেত্রী পরীমণি। ফের নতুন বির্তকে নাম জড়ালো এই সুন্দরী অভিনেত্রী। এবার অশ্লীলতার জেরে অভিযুক্ত হলেন তিনি। অভিনেত্রীর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা তাঁর একাধিক ছবি এবং ভিডিওকে অশ্লীল বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। সোমবার সেই কারণেই আইনি নোটিশ পাঠানো হয় অভিনেত্রীকে। এই নোটিশে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, অভিনেত্রীকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ওইসকল বিতর্কিত ছবি এবং ভিডিও সরিয়ে ফেলতে হয় অভিনেত্রীকে।
এদিন পরীমণিকে পাঠানো নোটিশে স্পষ্ট বলে হয়েছে যে এই ধরণের বার্তা পুরোটাই কুরুচিকর। এছাড়াও অক্টোবর মাসে ঢাকার পাঁচতারা হোটেলে নিজের জন্মদিন সেলিব্রেট করেছিলেন পরীমণি। এবং সেদিনের অভিনেত্রীর পোশাক, ছবি ভিডিওকে পুরোপুরি কুরুচিকর বলে অভিহিত করা হয়েছে। পরীমণি একজন অভিনেত্রী হওয়ার জেরে সমাজের আট থেকে আশি সকলের কাছে সুপরিচিত৷ আইনজীবীদের দাবি অভিনেত্রী যদি এই ধরণের অশ্লীল ছবি ভিডিও দেখে সমাজের উপর এক খারাপ প্রভাব পড়ছে৷ তাঁর এই ধরণের আচরণকে অনুসরণ করে খারাপ পথে পা বাড়াতে পারেন কমবয়সীরা।
এই নোটিসে আরো স্পষ্ট করে বলা হয়েছে,পরিমণী নিজের ব্যাক্তিগত জীবনে যা কিছু করতে পারেন ঠিকই কিন্তু সমাজ মাধ্যমে সেই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার আগে তাঁকে দ্বিতীয়বার চিন্তা করতে হবে। সেইসঙ্গে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি আইন অনুযায়ী যে কোনও ধরণের অশ্লীল মন্তব্য, সংলাপ, অভিনয়, ভাব বিনিময়, অঙ্গভঙ্গি বা যৌন উত্তেজনামূলক কর্মের ভিডিও, অডিও, ছবি বা গ্রাফিক্স পর্নোগ্রাফির সমান। সেই নিয়ম অনুযায়ী অভিনেত্রী পরীমণি যদি এই সকল ছবি এবং ভিডিও যা সমাজের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে তা সরিয়ে নেবেন তবে তাঁর উপরও আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেন বলে স্পষ্ট জানানো হয়েছে এই নোটিশে।