শাক–সবজি থেকে মাছ–ডিম–মাংস সবকিছুর দাম হয়ে যাচ্ছে আকাশছোঁয়া। মধ্যবিত্তের বাজারের থলি নিয়ে গেলেও দাম দেখে খালি ব্যাগ নিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। দেশজুড়ে ডিম আর মুরগি মাংসের দামও অত্যন্ত বেড়েছে। এবার এই ডিম আর মাংসের সেইম্মম দাম কমতে পারে এবং সাধারণ মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেতে পারেন। কারণ ২০২২ সালের জুন মাস পর্যন্ত সোয়াখালি মজুতের উপর সীমা বেঁধে দিয়েছে মোদী সরকার। কোনও ব্যবসায়ী এখন থেকে জুন মাস পর্যন্ত নির্ধারিত পরিমাপের চেয়ে বাড়তি মজুত রাখতে পারবে না।
কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, এই মজুতের পরিমাণ বেঁধে দিলেই ডিম আর মুরগির দাম কিছুটা কমবে। আর এর জন্য সাধারণ মানুষও ডিম আর মাংস কম দামে কিনতে পারবে। মজুতের উপর এই সীমাবদ্ধতা ৩০ জুন, ২০২২ পর্যন্ত কার্যকর করা হবে। চলতি মাসেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন পোল্ট্রি ডিম একটির দাম সাড়ে ৬ টাকা থেকে ৭ টাকা। এই নির্দেশের পর অনুমান করা হচ্ছে ডিমের দাম ৫ টাকায় নেমে যেতে পারে।
কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে খবর থেকে জানা গিয়েছে, সরকারের এই নতুন নিয়মে জুন মাস পর্যন্ত সয়াখালি প্রসেসর, মিল মালিক এবং প্ল্যান্ট মালিকরা ৯০ দিন বা তিন মাসের উৎপাদন নিজেদের কাছে স্টক করতে পারবেন। এমনকী তাঁদের স্টোরেজ স্পেসও জানিয়ে দিতে হবে মালিককে। সরকারি রেজিস্ট্রকৃত কোম্পানি, ব্যবসায়ী এবং ব্যক্তিগত চৌপাল ঘোষিত স্টোরেজ স্পেস–সহ সর্বাধিক ১৬০ টন উৎপাদন মজুত রাখতে পারে। এই সীমা যদি কেউ লঙ্ঘন করে তাহলে তা খাদ্য মন্ত্রকের পোর্টালে জানাতে হবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা এই নতুন নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, পোর্টালে দেওয়া সকল তথ্যগুলি নিয়মিত পরীক্ষা করা হবে। আর এই পদক্ষেপের জেরে নাকি মজুত, কালো বাজারি রোধ করা সম্ভব হবে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসাবে সয়ামিল বিবেচনা করায় কেন্দ্র সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সয়ামিলের উৎপাদন এবং তা বিতরণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দেবে।