Mood: মুড সুইং নিয়ন্ত্রণ করবেন যে উপায়ে

Published By: Khabar India Online | Published On:

 এমন অনেকেরই হয় সকালে ঘুম থেকে উঠেই মনটা খুব ভালো ছিলো কিন্তু হঠাৎ করেই মন খারাপ! বুঝতেই পারছে না কেন মন খারাপ হলো। আবার হুট করে রেগে যাওয়াও হয়।

তার মানে দাড়ায় আপনার ঘন ঘন মেজাজের পরিবর্তন ঘটে। যাকে এক কথায় বলা হয় মুড সুইং। নানা গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের ঘনঘন মেজাজ পরিবর্তন বা মুড সুইং হয় তাদের মস্তিষ্ক খুব তাড়াতাড়ি যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

আরও পড়ুন -  Gmail: টু-ফ্যাক্টর চালু করবেন যে ভাবে, জিমেইলে

এমনকি বিভিন্ন সমস্যার সমাধান বা যে কোনো পরিকল্পনা করতে পারে তাৎক্ষণিক। তবে দুর্ভাগ্যজনক হলো, এটা সবার ক্ষেত্রে এক হয় না। বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই বারবার মেজাজ পরিবর্তন হওয়ার ফলাফল খুবই বিপজ্জনক।

মনোবিদরা বলছেন, শুরুর দিকেই মুড সুইংয়ের সমস্যার সমাধান না করতে পারলে, তা বাইপোলার ডিসঅর্ডার বা দ্বৈত স্বত্বার মতো জটিল ও গভীর মানসিক রোগে পরিণত হতে পারে।

যেসব কারণে মুড সুইং হয়ঃ  

মস্তিষ্কে কয়েকটি নিউরোট্রান্সমিটার থাকে। যা থেকে হরমোন ক্ষরণও হয়। হরমোনের মধ্যে সেরোটোনিন ও নরপাইনফ্রাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমটি আমাদের ঘুমের ধরন, নানা রকমের মানসিক স্থিতি ও আবাগের ওঠাপড়ার সঙ্গে জড়িত। আর দ্বিতীয়টির সম্পর্ক স্মৃতি, কোনো কিছু শেখার দক্ষতা ও শারীরিক চাহিদার সঙ্গে। এই হরমোনের তারতম্যের কারণে মুড সুইং হতে পারে।

আরও পড়ুন -  Long Life: দীর্ঘায়ু জীবন কে না চায় বলুন ? এই অভ্যাসগুলো করুন

এ ছাড়া মানসিক চাপ, অ্যাংজাইটি, অবসাদ বা ডিপ্রেশান, মদ্যপান, ঘুমের অভাব, বাইপোলার ডিসঅর্ডার বা দ্বৈত সত্ত্বা, প্রিমেনস্ট্রুায়ল সিনড্রোম, কাজের চাপসহ বিভিন্ন কারণে হতে পারে মুড সুইং।

আরও পড়ুন -  Eyelids: ঘন করার উপায় সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে, চোখের পাপড়ি

যে ভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেনঃ

পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। দৈনিক অন্তত৭-৮ ঘণ্টা।

 প্রতিদিন ৩-৪ লিটার জল পান করতে হবে।

সঠিক ডায়েট মেনে চলতে হবে।

 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে হবে।

 পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।

মুড সুইংয়ের কারণে অতিরিক্ত রাগ কিংবা নেতিবাচক অনুভূতি মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিরাট প্রভাব ফেলতে পারে। যদি এ সমস্যা বেশি বাড়ন্ত হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া অত্যন্ত জরুরি। সূত্র: হেলথলাইন