করোনা আবহে আটকে ছিল ভোট। অবশেষে আজ প্রতীক্ষার অবসান। কিন্তু এই ভোট নিয়েই শাসকদলের দিকে লাগাতার আঙুল তুলল বিরোধীরা। বুথদখল থেকে রিগিং, বিরোধীদের মারধর, সরব বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করলেন। বললেন, বিজেপি বিধায়কদের আটকে রাখা হয়েছে এমএলএ হস্টেলে।
ভোটের দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বললেন, একাধিক জায়গায় বিজেপি বিধায়কদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। কলকাতা আসার পথে দু’জন বিজেপি বিধায়ককে রাস্তা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন শুভেন্দু। তিনি এও বললেন, ১২ জন বিধায়ককে এমএলএ হস্টেলের ভিতরে আটকে রাখা হয়েছে।
একটি ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, এমএলএ হস্টেলের গেটে তালা। ভিতরে আটকে রয়েছেন বিজেপি বিধায়করা। তাঁরা জানিয়েছেন, রবিবার সকালে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরুর পরেই হস্টেলের গেটে তালা দেওয়া হয়। তাঁদের আর বেরোতে দেওয়া হয়নি। বাইরে রয়েছে পুলিশি প্রহরা। বিজেপি বিধায়কদের প্রশ্ন, কলকাতার বিধায়কদের আবাসনে যাঁরা রয়েছেন তাদের কী ভাবে আটকাচ্ছে পুলিশ?
বাইরে প্রহরায় থাকা পুলিশ কর্মীরা এই নিয়ে মুখ খোলেননি। তবে জানা গিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশেই এ রকম হয়েছে। বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ, কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র ও রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস যৌথভাবে এই সব কাজ করছেন। তিনি আরও দাবি করলেন, এদিন হাওড়া ব্রিজ থেকে বিজেপি বিধায়র নীলাদ্রি জানা এবং নিবেদিতা সেতু দিয়ে আসার সময় দুর্গাপুরের বিধায়ককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের দাবি, বিধাননগরে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনেও পুলিশি প্রহরা রয়েছে।যদিও তৃণমূল এসব অভিযোগ মানেনি।