একদিন হাতে রেখেই অ্যাশেজের প্রথম টেস্ট জিতে নিলো অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থ ইনিংসে মাত্র ২০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৫.১ ওভার ব্যাটিং করে ৯ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নিয়েছে অজিবাহিনী।
২ উইকেটে ২২০ রানে তৃতীয় দিন শেষ করা ইংল্যান্ড চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নেমে অলআউট ২৯৭ রানেই। এদিন মাত্র ৭৭ রানেই পড়ে যায় ৮ উইকেট। আগেরদিন দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা জো রুট আর ডেভিড মালান এদিন সকালে ব্যাটিংয়ে নেমেই খেই হারান।
আগেরদিন ৮০ রানে অপরাজিত থাকা ডেভিড মালানকে দিয়েই ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ধ্বসের শুরু। নিজের নামে ২ আর দলের স্কোরবোর্ডে মাত্র ৩ রান যোগ করতেই নাথান লায়নের বলে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন মালান। সঙ্গীকে হারানোর পর আর দাঁড়াতে পারেননি জো রুটও। মালান যাওয়ার পর আর ৬ যোগ করেই দলীয় ২২৯ রানের মাথায় ক্যামেরন গ্রীনের বলে উইকেট দেন রুট।
ইংলিশরা উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত বিরতিতে। স্টোকস আর বাটলার মিলে কিছুটা চেষ্টা করলেও অজি বোলারদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারেননি কেউই। রুটের আউটে ২২৯ রানে ৪ উইকেট হারানো ইংল্যান্ড শেষ ৬ উইকেটে স্কোরবোর্ডে যোগ করে মাত্র ৬৮ রান। প্রথম ইনিংসে দাপট দেখানো অজি পেসাররা দ্বিতীয় ইনিংসে ছিলো পার্শ্বনায়কের ভূমিকায়।
মূলত অভিজ্ঞ নাথান লায়নের স্পিনেই দ্বিতীয় ইনিংসে হুড়মুড়িয়ে ছন্দপতন ঘটে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপের। আগেরদিনের ভয়ংকর হয়ে উঠতে থাকা জুটির মালানের উইকেট দিয়ে শুরু, একে একে মোট ৪ উইকেট তুলে নেন লায়ন একাই। মালানের উইকেট নিয়ে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের ৪০০ উইকেটও পেয়ে যান এই অফ স্পিনার।
প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট পাওয়া অজি কাপ্তান প্যাট কামিন্স এই ইনিংসে নেন ২ উইকেট। ক্যামেরন গ্রীন ২টি আর হ্যাজেলউড ও স্টার্ক নেন ১টি করে উইকেট।
চতুর্থ দিন লাঞ্চের আগেই মাত্র ২০ রানের টার্গেট পায় অস্ট্রেলিয়া। লাঞ্চের পর ব্যাটিংয়ে নেমে একমাত্র আলেক্স ক্যারির উইকেট হারিয়ে ৫.১ ওভারেই নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অজি শিবির।
অস্ট্রলিয়ার প্রথম ইনিংসে দারুণ ব্যাটিংয়ে ১৫২ রান করা ট্রাভিস হেড জিতে নিয়েছেন ম্যাচসেরার পুরষ্কার। অবশ্য প্রথম ইনিংসে ৫ উকেটের সাথে দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট পাওয়া অজি কাপ্তান কামিন্সও যোগ্য দাবিদার ছিলেন এই পুরষ্কারের। তবে অধিনায়কত্বের অভিষেক সিরিজে ব্যক্তিগত এবং দলীয় পারফরম্যান্সে পুরোটায় রাঙিয়ে রাখলেন এই নাম্বার ওয়ান টেস্ট বোলার। নিজের প্রথম পরীক্ষার অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম ম্যাচেই দলকে ১-০ ব্যবধানের লীড এনে দিলেন প্রায় ৬৫ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্ব পাওয়া কোনো ফাস্ট বোলার।