টুঙ্কা সাহা, আসানসোলঃ স্বামীর পরকীয়ার কথা জানতে পেরে বেঁধে গেল লংকা কান্ড। তারপরে স্থান- কাল-পাত্র নির্বিচারেই স্ত্রী বেধড়ক রাস্তার মাঝখানে ফেলে মারধোর করতে শুরু করল স্বামীর প্রেমিকাকে। কখনও হেলমেটের বাড়ি তো কখনও আবার লাথি দিয়ে রাস্তায় ফেলে চলল উত্তম-মধ্যম মার। চুলের মুঠি ধরে হিড়হিড় করে টানতে টানতে বরের প্রেমিকাকে রাস্তায় সকলের সামনেই মারতে লাগলেন স্ত্রী।
আসানসোলের বাসিন্দা মোহনলাল। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী। অভিযোগ, পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন মোহনলাল।
ঘটনাচক্রে তা জানতে পেরে যান তাঁর স্ত্রী। এরপরই অশান্তি শুরু হয় দম্পতির মধ্যে।
স্ত্রী একাধিকবার সতর্ক করেন ব্যবসায়ী স্বামীকে। তা সত্ত্বেও কোনও লাভ হয়নি।
এদিকে স্বামীর উপর নজরদারি চালাতে থাকেন বধূ। বৃহস্পতিবার আসানসোলের বার্নপুরের একটি হোটেলে সেই বধূ তাঁর স্বামীর সঙ্গে দেখতে পান প্রেমিকাকে। সেখানেই ওই তরুণীর উপর হামলা চালান তিনি।
হোটেল থেকে মারতে মারতে রাস্তায় বের করে আনা হয় তরুণীকে। হাতে থাকা হেলমেট দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে।
ক্রমাগত পেটে লাথি মারা হয়। ঘটনাটি নজরে পড়তেই রাস্তায় ভিড় করেন স্থানীয়রা।
কেউ কেউ মোবাইলে ভিডিও করে রাখেন সেই মারামারির দৃশ্য। সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। জানা গিয়েছে, মারধর করতে করতে ওই তরুণী ও স্বামীকে থানায় নিয়ে যান স্ত্রী। এই ঘটনায় হোটেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। তবে এবিষয়ে মুখ খোলেনি হোটেল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি এই ঘটনায় ব্যবসায়ী, তাঁর স্ত্রী, প্রেমিকা কেউই কোনও মন্তব্য করেননি।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে হোটেলের নিরাপত্তা রক্ষী জানান, “দেখলাম তো ঝগড়া ঝামেলা হচ্ছে। ওনারা হোটেল থেকে বেরোলেন।
আমরা বাইরে থাকি। কে কখন আসছে, যাচ্ছে, কতক্ষণ থাকছে ঘড়ি ধরে আমাদের পক্ষে তো বলা সম্ভব নয়। দু’জন বেরোলো দেখলাম। নিজেদের ব্যাপারেই কী সব বলছিল। অত জানি না।”
অন্যদিকে হোটেলের যিনি ম্যানেজার তাঁকে এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে কিছুই বলতে চাননি তিনি। শুধু জানান, “আসানসোলের লোক। আধার কার্ড, ম্যারেজ সার্টিফিকেট সবই জমা নিয়েছি। কিন্তু এখন এ নিয়ে কিছু জানাব না। আর কার কী ব্যক্তিগত বিষয় তা বলতেও পারব না।”