পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ফয়সালাবাদে মার্কেটের সামনে চার নারীকে বিবস্ত্র করে মারধর ও ভিডিও ধারণ করার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) প্রকাশ্যে নির্যাতন করা হয় ওই চার নারীকে। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে তাদেরকে নির্যাতনের ভিডিও।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) ফয়সালাবাদের পুলিশ কর্মকর্তা ড. আবিদ খান জানান, এঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। দোষীদের কঠোর শাস্তি আওতায় আনার কথা বলেন তিনি।
জানা গেছে, এ ঘটনায় মিল্লাত টাউন পুলিশ স্টেশনে সন্দেহভাজন হিসেবে কয়েক জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তারা হলেন, সাদ্দাম, ও তার এক কর্মচারী ফয়সাল, জহির আনোয়ার ও ফারুক হোসেনসহ অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ১০ জন। তাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের প্যানেল কোডের ৩৫৪-এ, ৫০৯, ১৪৭ ও ১৪৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
থানা দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে দশটার দিকে এক নারী অন্য তিন নারীকে নিয়ে ময়লা সংগ্রহ করতে বাওয়া চক বাজারে যান। তৃষ্ণা পাওয়ায় তারা একটি দোকান-ওসমান ইলেক্ট্রিক স্টোরে যান এবং অভিযুক্তদের একজন সাদ্দামের কাছে এক বোতল জল চান। কিন্তু দোকান মালিক সাদ্দাম তাদেরকে চোর হিসেবে অভিযুক্ত করে চিৎকার করা শুরু করে। আর তা শুনে অন্য অভিযুক্তরা দোকানে ছুটে আসে।
তারা ওই চার নারীকে পেটানো শুরু করে, বেঁধে ফেলে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তাদের ওপর চলে নির্যাতন। এসময় ভিডিও ধারণ করে তারা। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এতে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠে শহরজুড়ে। দ্রুত জড়িতদের গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন দেশটির নারী অধিকারকর্মীসহ সচেতন নাগরিকরা।
সূত্র: ডন