আজ (শুক্রবার) এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী খায়রি জামালউদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিঙ্গাপুর হয়ে মালয়েশিয়ায় আসা এক তরুণের শরীরে ওমিক্রন ভাইরাস পাওয়ার পর তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ১৯ বছর বয়সের ওই তরুণ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে পৌঁছালে তার শরীরে ওমিক্রন ভাইরাসের অস্তিত্ব পায় স্বাস্থ্যকর্মীরা। মালয়েশিয়ার পেরাক রাজ্যের ইপো`র একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওই তরুণ।
এর আগে করোনার নতুন সংক্রমণ ওমিক্রন ঝুঁকিতে বাংলাদেশসহ ২৬ টি দেশের নাগরিকদের লাংকাবি ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মালয়েশিয়া। করোনা সংক্রমিত দেশের তালিকায় না থাকলেও আন্তর্জাতিক গ্রাফিক্সে সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশের নাম। সে কারণেই ইউরোপ ও আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের নাম। বৃহস্পতিবার রাতে এক বার্তায় এ তথ্য জানান দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজি নুর হিশাম আব্দুল্লাহ।
শুধু ওই সমস্ত দেশের নাগরিকদের প্রবেশেই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি একই সঙ্গে শেষ ১৪ দিনে দেশগুলোতে ভ্রমণ করেছেন এমন কেউই লাংকাওয়ি`তে প্রবেশ করতে পারবেন না।
তবে দ্বীপে বসবাস করেন এমন মালয়েশিয়ান নাগরিক ও দীর্ঘমেয়াদি ভিসা থাকা ব্যক্তিরা একমাত্র কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরের মাধ্যমে প্রবেশ করতে পারবেন। লাংকাওয়ি প্রবেশের আগে তাদেরকে নির্ধারিত স্থানে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন করতে হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজি বলেন, আমরা পরিস্থিতি কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং নিয়মিতই এগুলো আপডেট হবে।
এদিকে জনপ্রিয় অনলাইন স্ট্রেইট টাইমস বলছে, বুধবার সিঙ্গাপুরে দুই ব্যক্তির শরীরে ওমিক্রনের উপসর্গ পাওয়া গেছে যারা দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানসবার্গ থেকে এসেছেন।