সুমিত ঘোষ, মালদা, ২রা ডিসেম্বরঃ বাড়ির সামনের জমিতে নোংরা আবর্জনা এবং মল ফেলার প্রতিবাদ করায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে গৃহবধূর হাতের দুটি আঙ্গুল কেটে নিল দেওর সহ তার পরিবারের লোকেরা বলে অভিযোগ। স্ত্রীকে বাঁচাতে এসে জখম হয়েছে তার স্বামীও। গুরুতর জখম অবস্থায় আহত গৃহবধূকে ভর্তি করানো হয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। পাশাপাশি ওই গৃহবধূর স্বামী বেদরাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বৈষ্ণবনগর থানার চকশেহেরদি কাশিমপাড়া এলাকায়। এই হামলার ঘটনায় আক্রান্তের দেওরের পরিবার খুরশেদ শেখ, নুর মহাম্মদ সহ সাতজনের বিরুদ্ধে বৈষ্ণবনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত দেওর পলাতক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম গৃহবধূর নাম আলাহার বিবি(৪৫) এবং তার স্বামী মনসুর শেখ(৫২)। মেডিকেল কলেজের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, গৃহবধূ আলাহার বিবির বাম হাতের কনিষ্ঠা এবং অনামিকা দুটি আঙ্গুল রীতিমতো শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। বিপুল রক্তপাত হওয়ায় ওই গৃহবধূর এখন সংকটজনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন।
এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় কৃষক মনসুর শেখের বাড়ির সামনে তাদের জমিতে তার ভাই খুরশেদ শেখ, নুর মহম্মদ নোংরা, আবর্জনা এবং মানুষের মল ফেলে জমা করছিল। দুর্গন্ধের টেকা দায় হয়ে পড়েছিল বলেই এদিন সকালে গৃহবধূ আলাহার বিবি প্রতিবাদ করেন। তখনই অভিযুক্ত দেওর ও তার দলবল নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই গৃহবধূর ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। রাস্তায় ফেলে তাকে মারধর করা হয়। এরপর তার বাম হাতের দুটি আঙুল কেটে নেওয়া হয়। স্ত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে বাঁচাতে যান স্বামী মনসুর শেখ। তখনই অভিযুক্তরা তাকে ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর আহতদের চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ জানিয়েছে, এই হামলার ঘটনায় সাতজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক। তাদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।
বাইট:- সেমি খাতুন (আক্রান্তের মেয়ে)