‘উচ্চ ঝুঁকি’তে থাকা কয়েকটি দেশ থেকে মহারাষ্ট্র রাজ্যে আসা অন্তত ৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। বুধবার স্বাস্থ্য বিভাগ এ তথ্য জানায়।
মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, করোনা আক্রান্ত হওয়া এ ছয়জনের জ্বীনগত পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। এতে জানা যাবে তারা আসলে ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন কিনা। এনডিটিভির খবরে বলা হয়, করোনা শনাক্ত হওয়া ছয়জনের শরীরে মাঝারি ও মৃদু লক্ষণ দেখা গেছে।
গত সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর এটি দ্রুত কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়ে। করোনার এ ধরন যাতে না ছড়ায় সে কারণে কঠোর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে।
ইতোমধ্যে ‘উচ্চ ঝুঁকি’র দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। গত রবিবার এ তালিকায় বাংলাদেশেও নাম ছিল। পরে তা সরিয়ে নেয়া হয়। বাংলাদেশকে বাদ দিয়ে মঙ্গলবার তালিকা প্রকাশ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
কয়েকটি দেশে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুকে কেন্দ্র করে এ নির্দেশনামূলক তালিকা প্রকাশ করেছিল সরকার।
সরকারের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের সবগুলো দেশকে উচ্চ ঝুঁকিতে রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশসহ আরও ১১টি দেশকে এ তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছিল। সেখান থেকে বাদ দেয়া হয়েছে বাংলাদেশকে।
তালিকায় থাকা ওমিক্রনের ‘উচ্চ ঝুঁকি’র দেশগুলো হলো- যুক্তরাজ্যসহ পুরো ইউরোপ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, বোতসোওয়ানা, চীন, মরিশাসম নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, সিঙ্গাপুর, হং কং ও ইসরায়েল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এসব দেশ থেকে যাত্রীরা দেশে প্রবেশ করামাত্র বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর টেস্ট করতে হবে। তাদেরকে বিমানবন্দরে থেকেই এ টেস্টের ফলাফল জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
যাত্রীদের মধ্যে যাদের করোনা পজেটিভ দেখাবে, তাদেরকে হাসপাতালে নেয়া হবে। সেখানে তারা কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। যতক্ষণ না তাদের করোনা নেগেটিভ আসছে, ততক্ষণ তাদের সেখানে থাকতে হবে।
এ ছাড়াও ‘উচ্চ ঝুঁকির’ এসব দেশ থেকে ভারতে যাওয়া যাত্রীদের করোনা পজেটিভ না হলেও ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ থাকতে হবে এবং আটদিন পর একটি টেস্ট করিয়ে করোনা নেগেটিভ দেখাতে হবে।
দেশে এখনও ওমিক্রনে আক্রান্ত কারো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে মহারাষ্ট্রের থানেতে এক দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরত ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হওয়ায় তার ওপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। প্রতীকী ছবি