দেশের সংবিধানের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরার জন্য সংসদের সেন্ট্রাল হলে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এদিন সংবিধান পাঠ করেন। আর সংসদে উপস্থিত সকল সদস্যদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যদিও এইদিন অন্য বিরোধী দলগুলি এই অনুষ্ঠানটি বয়কট করেছেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাধীনতার লড়াইয়ে যারা আত্মত্যাগ করেছেন, আজ সেই সব ব্যক্তিত্বকে স্মরণ করার দিন। পাশাপাশি আজ ২৬/১১। যা দেশের জন্য অত্যন্ত দুঃখের একটি দিন। এই দিনেই দেশের শত্রুরা দেশের মাটিতে প্রবেশ করে মুম্বইয়ে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছিল। দেশের বীর জওয়ানরা ওই আতঙ্কবাদীদের সঙ্গে লড়াই করতে করতে নিজের প্রাণ দিয়েছিলেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী তাদের সকলকে শ্রদ্ধা জানান।
সংবিধান দিবস হিসেবে সকল দেশবাসীর উদ্দেশে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গণতান্ত্রিক দেশে সংবিধানের মাহাত্ম্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এদিন পরিবারতন্ত্র প্রসঙ্গে কংগ্রেসকে খোঁচা দিলেন নমো। সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত পরিবারতান্ত্রিক দলগুলির দিকে তাকান, এটা গণতন্ত্রের পরিপন্থী। ভারতের মতো বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশকে এক সুতোয় বেঁধে রাখে আমাদের সংবিধান। আজ সংসদ ভবনকে সেলাম করার দিন।” এদিন কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ ভারত এমন এক বিপদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যার ফলে সংবিধানের প্রতি যাঁরা নিবেদিত তাঁরা উদ্বেগে রয়েছেন। আজ পরিবারতান্ত্রিক দলগুলি গণতন্ত্রের প্রতি আস্থাবান লোকের কাছে অত্যন্ত চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
রাজনৈতিক সমালোচকদের মতে, ভারতের রাজনৈতিক মঞ্চে পরিবারতান্ত্রিক দলের অভাব নেই। তবে সেই ইঙ্গিতে কংগ্রেসকেই ফের বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। অতীতে বারবার রাহুল গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে ‘ঐতিহ্য ভাঙিয়ে’ রাজনৈতিক মুনাফা লাভের অভিযোগ করেছেন নমো। আজকের এই আক্রমণের কারণ ব্যাখ্যা করলে বলা যেতে পারে, আগামীবছর পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা ভোট। আর আঞ্চলিক দলগুলি যতই নিজেদের জয়ঢাক পেটাক না কেন জাতীয় স্তরে পদ্মশিবিরকে টেক্কা দেওয়া ক্ষমতা নেই তাঁদের। সেটা সকলের জানা।