কেন্দ্রীয় সরকার ম্যান মেড ফাইবার, ম্যান মেড ফেবরিক ইয়ার্ন, ম্যান মেড ফেবরিক অ্যাপারেল বা তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রে ১২ শতাংশ হারে অভিন্ন পণ্য ও পরিষেবা কর স্থির করেছে। এর ফলে, ম্যান মেড ফেবরিক টেক্সটাইলের মূল্য-শৃঙ্খলে ইনভার্টেড কর কাঠামোগত সমস্যা দূর হবে। আগামী পয়লা জানুয়ারি থেকে কর কাঠামোয় অভিন্ন এই হার কার্যকর হচ্ছে। কর কাঠামো ক্ষেত্রে এই অভিন্নতা ম্যান মেড ফাইবার বা কৃত্রিম তুলো শিল্পের অগ্রগতি ঘটাবে এবং এই ক্ষেত্রটি আরও বেশি সংখ্যক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
উল্লেখ করা যেতে পারে, তৈরি পোশাক মূল্য-শৃঙ্খলে ইনভার্টেড কর কাঠামো প্রত্যাহারের জন্য বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানানো হয়ে আসছে। ম্যান মেড ফাইবারের ক্ষেত্রে জিএসটি ছিল ১৮ শতাংশ, ম্যান মেড ফেবরিক ইয়ার্নের ক্ষেত্রে জিএসটি ১২ শতাংশ এবং ম্যান মেড ফাইবার ফেবরিকের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ। উচ্চ হারে কর আরোপের ফলে তৈরি বস্ত্র সামগ্রীর খরচ বৃদ্ধি পেত। এর ফলে, ম্যান মেড ফাইবার মূল্য-শৃঙ্খলের বিভিন্ন স্তরে করের বোঝা বাড়তো। এমনকি, শিল্প সংস্থাগুলির মূলধন বকেয়া থাকতো।
জিএসটি ব্যবস্থায় অব্যবহৃত ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট রিফান্ড হিসাবে দাবি জানানোর সংস্থান রয়েছে। তবে, রিফান্ডের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জটিলতার দরুণ বস্ত্র শিল্পের কর মান্যতার বোঝাও বৃদ্ধি পেত। ইনভার্টেড কর কাঠামো বস্ত্র ক্ষেত্রে করের হার বৃদ্ধি করতো। এর ফলে, উৎপাদনের ওপর প্রভাব পড়তো। সমগ্র বিশ্বে বস্ত্র শিল্প যখন ম্যান মেড ফাইবার ব্যবহারের পথে অগ্রসর হয়েছে, ভারত তখন এ ধরনের ফাইবারের সুবিধা গ্রহণ করতে পারেনি। কিন্তু, ১২ শতাংশ হারে অভিন্ন পণ্য পরিষেবা কর স্থির হওয়ায় এবার এই ক্ষেত্রের অগ্রগতি আরও ত্বরান্বিত হবে।
বস্ত্রের ওপর বিভিন্ন কর হার স্বাভাবিকভাবেই কর মান্যতায় সমস্যা সৃষ্টি করতো। এমনকি, ম্যান মেড ফাইবারজাত বস্ত্র সহজে চিহ্নিত করাও যেত না। ফলে, সঠিক কর আরোপ করাও সম্ভব হ’ত না। তাই, সমগ্র ব্যবস্থায় এক অভিন্ন কর আরোপের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। অভিন্ন এই কর বস্ত্র ক্ষেত্রে মূল্য সংযোজনের সম্ভাবনাকে বাড়াবে। সেই সঙ্গে, ইনভার্টেড কর কাঠামোর জন্য বস্ত্র শিল্পকে যে সমস্যার সম্মুখীণ হতে হয়েছে, তা এবার দূর হবে। সূত্রঃ পিআইবি