অর্পিতা ঘোষ এর জায়গা নিলেন গোয়ার নেতা লুইজিনহো ফালেইরোর নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল। এর আগে রাজ্যসভার আর এক আসনে অসমের নেত্রী সুস্মিতা দেবকে মনোনীত করেছে তৃণমূল। এবার ফালেইরোর নাম ঘোষণার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় খোঁচা দিলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। খোঁচার নিশানায় বাবুল সুপ্রিয়।
অনুপম হাজরা বাবুলের নাম না করে ফেসবুকে লিখলেন, ‘গোয়ার ছেলেটাকে রাজ্যসভায় পাঠাল, অথচ প্লেয়িং ১১–য় খেলতে চাওয়া বাংলার ছেলেটাকে মাঠের বাইরে বসিয়ে রাখল।’ দীর্ঘদিন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী ছিলেন আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ বুবল সুপ্রিয়। বিপুল ভোটে লোকসভা ভোটে জিতেছিলেন। তবে সেই পদ খোয়ানোর পরেই দল ছেড়ে ঘাসফুলে যোগ দেন। দলবদল নিয়ে বাবুল বলেছিলেন, ‘প্রথম একাদশে খেলতে চাই’। সেই সময় জল্পনা তৈরি হয়েছিল যে বাবুলকে হয়ত রাজ্যের কোনো মন্ত্রী পদে মনোনয়ন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিধানসভা উপনির্বাচনে বাবুলকে প্রার্থী করা তো দূরে থাক প্রচারক হিসেবেও কোথাও দেখা যায়নি। এরপর রাজ্যসভা থেকে অর্পিতা ঘোষ পদত্যাগ করার পর সেই জায়গা হয়তো বাবুল পেতে পারে মনে হয়েছিল অনেকের। তাতেও পুরোপুরি জল ঢেলে দিয়েছে শাসক দল। তৃণমূল জানায়, সেই আসনে তারা গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও সদ্য দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতির পদ পাওয়া লুইজিনহো ফেলেইরোকে মনোয়ন দেবে। এই ঘটনার পর থেলে বাবুলকে কটাক্ষের বাণে বিঁধলেন একদা তাঁর সতীর্থ থাকা বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। গত ২৪ অক্টোবর থেকে তৃণমূলের হয়ে মাঠে জোড়কদমে নেমে পড়েছেন দলবদলু বাবুল সুপ্রিয়। প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছে গোয়াতে।শাসক দলের হয়ে প্রথম রাজনৈতিক ‘অ্যাসাইনমেন্টে’ গোয়ায় যান বাবুল।
পাল্টা তোপ দাগলেন বাবুলও। তিনিও ছেঁড়ে দেওয়ার পাত্র নয়। তিনি বললেন, অনুপম আসলে ‘বোকা’ ছেলে। এদিন তাঁর রাজনৈতিক বুদ্ধি নিয়েও সংশয় প্রকাশ করলেন। বাবুল বললেন, ‘দু’বার লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে যে জিতেছে, সে সাংসদ পদ ছাড়ার পরে রাজ্যসভায় কেন যাবে?
এটা বোঝার মতো বুদ্ধি তো ওঁর থাকা উচিত। কিন্তু সেটা নেই বলেই উনি অনুপম হাজরা।’ পাশাপাশি তিনি এও বলেন, ‘উনি তো অনুব্রত মণ্ডলকে শ্রদ্ধা করেন। তাই একবার অনুব্রত মণ্ডলের পায়ের কাছে বসে রাজনীতির পাঠটা নিয়ে নিন। কারণ, দু’বার লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে যে জিতেছে, সে সাংসদ পদ ছাড়ার পরে রাজ্যসভায় কেন যাবে? এটা বোঝার মতো বুদ্ধি তো ওঁর থাকা উচিত। সেটা নেই বলেই উনি অনুপম হাজরা।’’