Mamata Banerjee Said: পোস্তার বাজার সমিতির উদ্দেশ্যে মমতা ব্যনার্জি বলেন, সবজির বেশি দাম নেবেন না

Published By: Khabar India Online | Published On:

আকাশছোঁয়া হয়ে উঠেছে সমস্ত জিনিসের দাম।  সদ্য কালীপুজো গেছে আর এই সময় পেঁয়াজ থেকে আলু সব কিছুই দাম যেনো আকাশছোঁয়া। প্রায় ৪০% বেড়েছে শাক-সবজির দাম! বেড়েছে আলু, আদা, পেঁয়াজ, পটল, টমেটোর দামও। পাশাপাশি দেশজুড়ে ঊর্ধ্বমুখী তেল ও রান্নার গ্যাসের দাম তো আছে।

কাঁচা সবজি কিনতে গেলেই হাতে ছ্যাঁকা খাচ্ছে মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্তরা। এমন পরিস্থিতিতে বিক্রেতাদের সবজির দাম কম নেওয়ার আর্জি জানালেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা। মঙ্গলবার পোস্তা বাজারে জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে গিয়েছিলেন আর সেখানে বাজার সমিতির কাছে এমন আবেদন রাখেন তিনি। একইসঙ্গে কাঁচা সব্জির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের তীব্র সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন -  Boat Sinking: নৌকা ডুবে ২৯ জনের মৃত্যু, নাইজেরিয়ায়

পোস্তার বাজার সমিতির উদ্দেশ্যে মমতা ব্যনার্জি বলেন, “সবজির বেশি দাম নেবেন না। জানি ডিজেলের দাম বেশি। গ্যাসের দাম আকাশছোঁয়া। তবু অনুরোধ করব সব্জির দাম বেশি নেবেন না।” কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূলনেত্রী। তিনি বললেন, “নোটবন্দি করেছে। পেট্রোপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। কেন্দ্র সরকার ৪ লক্ষ কোটি টাকা আয় করেছে। আর এখন মানুষের পকেট কাটছে।” রাজ্যের বকেয়া না মেটানো নিয়েও এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের তুমুল সমালোচনা করেছেন মমতা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “টাকা দেওয়ার সময় নেই। ভ্যাকসিন দেয় না। আর খালি নিন্দা করে। ভাত দেওয়ার নাম নেই কিল মারার গোঁসাই।”

আরও পড়ুন -  Ritabhari Chakraborty: ঋতাভরী কালো গাউনে লাস্যময়ী, হট লুক

প্রকাশ্যে নাম না করে রাজ্যপালকেও খোঁচা দিতে ভোলেননি মুখ্যমন্ত্রী। “কিছু মানুষ তো বসে আছেন, সকাল থেকেই চিমটি কাটার জন্য। এদিকে দিল্লি থেকে এক টাকাও এনে দেওয়ার ক্ষমতা নেই। রাজ্যের জন্য কিছু করার ক্ষমতা নেই।” তার পরই মমতার কটাক্ষের সুরে বললেন, “আগে এমনটা ছিল না। সাংবিধানিক পদে যাঁরা থাকতেন, তাঁদের একটা সম্মান ছিল। বিজেপির আমলে সব অন্যরকম। সকাল থেকে খালি চিমটি কাটতে বসেন তাঁরা।”

 মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরো বলেন, ‘তারকেশ্বর কালীমন্দির উন্নয়ন করেছি। কালীঘাট মন্দিরে স্কাইওয়াক হচ্ছে। সর্বধর্ম সমন্বয় মূল স্রোত বাংলা। কখনও কোভিড আসবে, কখনও ফণী, কখনও যশ আশবে। তবু উৎসবমুখর বাংলাকে থামিয়ে রাখা যাবে না। মিলিত হওয়া আর সবাইকে মিলিত করা বাংলার ধর্ম। এদিন তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করার পাশাপাশি প্রশাসনের প্রশংসা করেছেন তিনি।ধন্যবাদ দেন তিনি। ১৩ নভেম্বর জগদ্ধাত্রী পুজো। গঙ্গাঘাটে যাওয়ার কর্মসূচি রয়েছে। জানালেন তিনি। ১০ এবং ১১ তারিখ দু’দিন ছটপুজোর ছুটি। তিনি সকলের উদ্দেশ্যে এদিন বলেন, ভাল করে ছট পুজো করবেন। লিট্টি, ঠেকুয়া বানান ভাল করে।

আরও পড়ুন -  ‘তৃণমূল নেতারা পা রাখলেই তালিবানি কায়দায় আক্রমণ করতে হবে’, কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করছেন বিজেপি বিধায়ক