রান্নাঘরে সবজির ঝুঁড়িতে পটল থাকবে না তা কী হয়! পটল দিয়ে বাহারি সব পদ তৈরি করা যায়। তবে বিপত্তি বাঁধে এর বীজ নিয়ে।
এর বীজ বেশ শক্ত হওয়ায় অনেকেই তা খেতে চান না। কেউ কেউ পটল রান্নার সময় বীজগুলো ফেলে দেন। আবার অনেকেই বীজসহ পটল খেতে পছন্দ করেন।
বিশেষ করে পটল ভাজার ক্ষেত্রে অনেকেই রেখে দেন বীজগুলো। আপনিও যদি বীজসহ পটল খাওয়ার দলে পড়েন, তাহলে জানেন কি অজান্তেই শরীরের কতটা উপকার করছেন।
- পটল কোলেস্টেরল ও রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। একই কাজ করে পটলের বীজও। এই বীজ শরীরে গেলে কোলেস্টেরল ও রক্তে শর্করার মাত্রা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- বিজ্ঞানীরা বলছেন, পটলের বীজের কয়েকটি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে জ্বর-সর্দি-কাশিও কমে।
- হজমের সমস্যা কমাতেও পটল কার্যকরী। এজন্য বীজসহ পটল অল্প করে থেঁতো করে ধনে পাতার সঙ্গে মিশিয়ে নিন। অল্প জলেতে ভিজিয়ে রেখে দিনে ৩-৪ বার পান করুন। হজমের সমস্যা কমবে।
- পটলের বীজে থাকা উপাদানসমূহ রক্ত পরিশুদ্ধ করে। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। শরীরের দূষিত পদার্থ বের করতে পারে পটলের বীজ।
- এমনকি যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্যও উপকারী পটল ও এর বীজ। নিয়মিত পটল খেলে এই সমস্যা কিছুটা হলেও কমতে পারে।
মনে রাখবেন, পটলের বীজের নানা উপকারিতা থাকলেও এর আস্তরণটি অনেকটাই শক্ত। অনেকসময় এটি হজম হয় না বা পেট ব্যথাও হতে পারে। তবে তা খুবই বিরল।
সূত্র: হেলথ বেনিফিটস টাইমস