By-Election: বাংলাকে একমাত্র বাঁচাতে পারে বিজেপি, নইলে বাংলা পরবর্তীতে বাংলাদেশ হয়ে যাবে

Published By: Khabar India Online | Published On:

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কবে দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন, প্রকাশ্যে সেকথা জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা মমতারই প্রাক্তন ‘শিষ্য’ শুভেন্দু অধিকারী৷ সকলের সামনে প্রাক্তন গুরুমশাইকে উদ্দেশ্য করে তীব্র কটাক্ষের সুরে বললেন, ‘‘যেদিন গরুর গাড়িতে হেডলাইট লাগবে, স্যান্ডো গেঞ্জির যেদিন বুক পকেট লাগবে সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হবেন!’’

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খড়দহ বিধানসভায় উপ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী জয় সাহার সমর্থনে প্রচারে এসেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু৷ সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রসঙ্গ আসতেই এভাবেই কটাক্ষ করলেন। এদিন খড়দহের কল্যাণী হাইরোডের উপর ৫৬ নম্বর বাস স্ট্যান্ডের কাছে বিজেপির একটি পথসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ ওই পথসভার মূল বক্তা হিসেবে প্রচারে আসেন রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুধু মুখ্যমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন নিয়েই নয়, বাংলাদেশ প্রসঙ্গেও এদিন বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। বাংলাদেশ প্রসঙ্গে শুভেন্দুর অকপট মন্তব্য, ‘‘বাংলায় সনাতনীরা বিপন্ন। সনাতনীদের কোনও ভাল অবস্থা বাংলায় নেই।’’ এরপরই বোমা ফাটিয়েছেন, ‘‘বাংলাদেশে যা হয়েছে তা শুধুই ট্রেলর৷ এখন থেকে সাবধান না হলে সিনেমাটা এবার  বাংলায় দেখবেন।”

আরও পড়ুন -  Lakshmi Bhandar Update: সব মহিলারাই পাবেন ১০০০ টাকা, ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’, ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

 সভায় হাজির ছিলেন প্রার্থী জয় সাহা,এছাড়া ছিলেন সাংসদ অর্জুন সিং, রুদ্রনীল ঘোষ, সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্য নেতৃবৃন্দ। এদিন খড়দহের উপনির্বাচন প্রার্থী জয় সাহাকে ভোট দেবার আবেদন করেন সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি এদিন বলেছেন, বাংলা থেকে ইতিমধ্যে সিপিএম-কে হটানো হয়েছে। এবার তৃণমূলকে উৎখ্যাত করতেই হবে। বাংলাকে একমাত্র বাঁচাতে পারে বিজেপ। নইলে বাংলা পরবর্তীতে বাংলাদেশ হয়ে যাবে।’

আরও পড়ুন -  প্রধানমন্ত্রীর গোয়ালিয়রের সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য এককালীন সাহায্য অনুমোদন

প্রসঙ্গত, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন সম্পর্কে সোমবারই তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপির নবাগত রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ খড়দহের একটি সভা. থেকে তিনি বলেছিলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিকই বলেছেন৷ ওনার অভিজ্ঞতা আছে, পাঁচ হাজার কোটি টাকার লোন কিভাবে সরকারের ঘাড়ে চাপাতে হয়। প্রতি বছর হওয়া এসএসসি বন্ধ করে দিয়ে ১০ বছরে মাত্র দু’বার করার অভিজ্ঞতা মুখ্যমন্ত্রীর আছে৷ প্রতিটি চাকরিতে কিভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের টাকা দিয়ে চাকরি পেতে হয় এবং কিভাবে উপযুক্ত যোগ্যতা সম্পন্ন হবু শিক্ষকদের অনশন করে মরতে হয়, উনি সেই অভিজ্ঞতা বাংলায় তৈরি করে দিয়েছেন৷ তবে ওঁনার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অভিজ্ঞতা আছে কি না, আমার জানা নেই৷’’

আরও পড়ুন -  ৩৫০০ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হচ্ছে রাজ্যকে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে, চাপে রাজ্যে সরকার