China Telecom: চায়না টেলিকমের লাইসেন্স বাতিল করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

Published By: Khabar India Online | Published On:

জাতীয় নিরাপত্তার কথা জানিয়ে চীনের বৃহৎ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি চায়না টেলিকমের লাইসেন্স বাতিল করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে আগামী দুই মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে চায়না টেলিকমকে। খবর বিবিসির।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, এই কোম্পানির ওপর চীনা সরকারের নিয়ন্ত্রণের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের যোগাযোগ ব্যবস্থায় তাদের প্রবেশ, তথ্য মজুদ করা, বিঘ্ন তৈরি করা বা ভুলভাবে কার্যক্রম চালানোর সুযোগ থেকে যাচ্ছে।

 ফলে চীন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি বা অন্য ক্ষতিকারক কর্মকাণ্ড চালানোর সুযোগ পেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২০ বছর ধরে টেলিযোগাযোগ সেবা দিয়ে আসা চায়না টেলিকম এই সিদ্ধান্তকে হতাশাজনক বলে উল্লেখ করেছে। এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সম্ভাব্য সব বিকল্প অনুসরণের পরিকল্পনা করছি।

আরও পড়ুন -  Nia Sharma: নিয়া শর্মা, ‘পুরুষাঙ্গ’ আকৃতির কেক কেটে বিতর্কে !

চীনের টেলিযোগাযোগ খাতে যে তিনটি কোম্পানির প্রাধান্য রয়েছে, তাদের একটি চায়না টেলিকম। এই কোম্পানি ১১০টি দেশে কোটি কোটি গ্রাহককে সেবা দিয়ে থাকে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট থেকে শুরু করে মোবাইল ও ল্যান্ডলাইন টেলিফোন নেটওয়ার্কে এই কোম্পানি সেবা দিয়ে থাকে।

চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী লিউ হের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা পরেই চায়না টেলিকমের লাইসেন্স বাতিলের এই সিদ্ধান্ত জানানো হলো।

আরও পড়ুন -  TRP: বাজিমাত করল কারা, টিআরপি তালিকায় দেখুন

বাণিজ্য এবং তাইওয়ান ইস্যুতে দুই পরাশক্তির সাম্প্রতিক উত্তেজনার পর এই দুই নেতার বৈঠককে পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নতির লক্ষণ হিসেবে দেখা হচ্ছিল।

২০২০ সালের এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশন (এফসিসি) সতর্ক করে দিয়েছিল যে, তারা হয়তো চায়না টেলিকমের কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দিতে পারে। সেখানে তারা দাবি করেছিল, চীনা সরকারের শোষণ, প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি।

সে সময় বলা হয়েছিল, এই প্রতিষ্ঠানটি সম্ভবত কোন রকম স্বাধীন বিচার বিবেচনা ছাড়াই চীনা সরকারের অনুরোধ মেনে চলতে বাধ্য হয়ে আসছে। চায়না টেলিকম হলো চীনের সর্বশেষ প্রতিষ্ঠান যাদের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন।

আরও পড়ুন -  সম্পর্ক ছিন্নের পথে চীন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে

গত বছর হুয়াওয়ে এবং জেডটিই-কে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য হুমকি হিসাবে উল্লেখ করেছিল এফসিসি। এর ফলে তাদের কাছ থেকে যন্ত্রপাতি কেনা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কঠিন হয়ে যায়।

এর আগে ২০১৯ সালে চায়না মোবাইলের মার্কিন লাইসেন্স বাতিল করে দিয়েছিল এফসিসি। চায়না ইউনিকম আমেরিকান এবং প্যাসিফিক নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রেও এরকম ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সবগুলো ঘটনাতেই যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন যে, এসব কোম্পানির মাধ্যমে চীনের সরকার আমেরিকার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি বা জাতীয় স্বার্থের ক্ষতি করতে পারে।