নার্সিংহোমে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে হিমশিম খাচ্ছিলেন রোগী ও তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে স্বাস্থ্য সাথীর ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার পরিষেবা পেতে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। একাধিক জায়গা থেকে উঠে আসছে বিভিন্ন রকমের অভিযোগ। কেউ বলছেন, কোথাও বা বেড নেই, আবার কোথাও ডাক্তারের সমস্যা। অনেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও আর বেড থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালে রোগীকে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। এবার এই অভিযোগের ভিত্তিতেই কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন রাজ্য সরকার।
স্বাস্থ্যসাথী চিকিৎসা বীমায় একটি নির্দিষ্ট খরচের মাপকাঠি বেঁধে দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রোগীকে যে কোনো বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা সহ ৫ হাজার টাকার বেশি খরচ করতে পারবে না৷ এদিন হুঁশিয়ারির সুরে স্পষ্ট জানিয়েছেন রাজ্য সরকার।
স্বাস্থ্য ভবনের নতুন নির্দে অনুযায়ী, রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির পর একের পর এক ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা করিয়ে বিল ধরিয়ে দেওয়া চলবেনা। একজন রোগীর সর্বাধিক ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত টেস্ট করা যাবে আর সেই সময় পর্যন্ত বেড চার্ড অনুমোদন করা যাবে। দ্রুত রোগ নির্ণয় করে রোগীকে প্যাকেজের আওতায় আনতে হবে। এই পদ্ধতি না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন।
স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় বর্তমানে ১৯০০ টি বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থা মজুত করা হয়েছে। মঙ্গলবার অ্যাডভাইজরি প্রকাশ্য করে সাফ বলা হয়েছে, রাজ্যের একাধিক নার্সিংহোম এবং বেসরকারি হাসপাতালে রোগীকে ভর্তি করানোর পর বিনাকারণে একের পর এক ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা করে যায়। যার দরুণ সঠিক সময়ে রোগীর চিকিৎসাও শুরু হয় না, বদলে রাজকোষ থেকে প্রচুর টাকা বেরিয়ে যায় আর রোগীও সুস্থ হয়না।
রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা তথা চিকিৎসক অজয় চক্রবর্তী বলেছেন, ‘স্বাস্থ্যসাথী বীমা রাজ্যের একটি অনন্য কর্মসূচী। একে আরও সুচারু করতে কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। হিসেবকে সহজ করতেই এই ব্যবস্থা। ‘ পাশাপাশি নতুন নির্দেশিকার নতুন উপদেশাবলী প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। যেখানে বলা হয়েছে, সরকারি হাসপাতালে রোগীকে ভর্তি করাতে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। আর যদি কোনো রোগীর এই কার্ড না থাকে তাহলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব নিয়ে এই কার্ড করে দিতে হবে।