Power Consumption: পরিবেশ বান্ধব জ্বালানী ক্ষেত্রে ভারতের জোরালো অঙ্গীকার

Published By: Khabar India Online | Published On:

বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের স্থিতিশীলতা এবং জলবায়ুর পরিবর্তন প্রতিরোধে ভারতের অঙ্গীকার অনুযায়ী স্বচ্ছ জ্বালানীর ব্যবহার বাড়াতে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রক একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আইনের পরিবর্তনের ফলে যথাযথ সময়ে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সকলে যাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যয় হওয়া অর্থ ফেরৎ পান তা এর মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে। ২০০৩ সালের বিদ্যুৎ আইন অনুযায়ী বিদ্যুতের গ্রাহক এবং সংশ্লিষ্ট সকলের কথা বিবেচনা করে নিয়মাবলীর পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে। এর জন্য নতুন নিয়ম গুলি হল:

১. আইন পরিবর্তনের ফলে সঠিক সময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যয় বাবদ অর্থ পাওয়ার জন্য ২০২১ সালের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত নিয়মাবলী।

আরও পড়ুন -  অষ্টম ভারত গৌরব অনন্যা সম্মান-২০২২ প্ৰদান, প্রেস ক্লাব কলকাতা

২. পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সেই বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য ২০২১ সালের প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের নিয়মাবলী।

বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যে অর্থ ব্যয় হয় তা নির্দিষ্ট সময়ে পাওয়ার বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এর ওপর ভিত্তি করে এক্ষেত্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত হবে। এতদিন যে নিয়মাবলী প্রযোজ্য ছিল তাতে উৎপাদন ব্যয় ফেরৎ পাওয়া সময় সাপেক্ষ বিষয় ছিল। বর্তমান নিয়মে সেই সমস্যা দূর হল। দেশে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বান্ধব একটি পরিবেশ এর ফলে গড়ে উঠবে।

আরও পড়ুন -  Jiang Zemin Died: প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জিয়াং জেমিন, মারা গেছেন, চীনের

সারা বিশ্ব জুড়ে জ্বালানীর ব্যবহারের পরিবর্তন হচ্ছে। ভারত এই পরিবর্তনের প্রতি দায়বদ্ধ। আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০২২ সালের মধ্যে ১৭৫ গিগাওয়াট পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। এই পরিমাণ ২০৩০ সালে বেড়ে দাঁড়াবে ৪৫০ গিগাওয়াট। এ সংক্রান্ত নিয়মাবলী পরিবর্তন করার ফলে পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে তা প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণে সুবিধা হবে।

নতুন নিয়মানুসারে বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ গ্রীডে পাঠানোর ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ তখনই করা যাবে যখন কোনো কারিগরি সমস্যা দেখা দেবে। ভারতীয় বিদ্যুৎ গ্রীড বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনে বিদ্যুৎ সরবরাহে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে যারা বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে তাদের প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। নতুন নিয়মের ফলে বিদ্যুৎ সংগ্রহ করার সময় বন্টন সংক্রান্ত লাইসেন্স থাকতে হবে। কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারকে স্বচ্ছভাবে দরপত্র আহ্বানের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় পন্থা অনুসরণ করতে হবে। সূত্রঃ পিআইবি

আরও পড়ুন -  Mobile: ৫৩০ কোটি মোবাইল বাতিল হবে