টুঙ্কা সাহা, আসানসোলঃ অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে মাতৃহারা ঐশী মহাতার।সালানপুর ব্লকের কল্লা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চয়োনপুর গ্রামের বাসিন্দা রামনারায়ণ মাহাতার প্রথম পক্ষের কন্যা সন্তান ঐশী মাহাতা।ঐশী মাহাতর যখন চার বছর বয়স তখন তার মা ব্লাডক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।তারপরে ঐশী জানিয়েছেন তার মা মারা যাওয়ার পর তার বাবা আরো একটি বিবাহ করেন।তারপরে তার জীবনে নেমে আসে কালো মেঘের ছায়া।ঐশী জানান যে তার বাবার দ্বিতীয় বিয়ে হওয়ার পর থেকেই তার সৎ মা এবং তার বাবা ও কাকু তার উপরে শারীরিক ভাবে ও মানসিক ভাবে অত্যাচার শুরু করে।শুধু তাই নয় তার সৎ মা তাকে সেক্সচুয়াল নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ তুলেন ঐশ্ৰী।
তারপর ২০১৯ সালে এই সমস্ত ঘটনার বিরুদ্ধে সে থানায় অভিযোগ করেন কিন্তু তার সৎ মা এবং বাবা জোর করে ভয় দেখিয়ে অভিযোগ তুলে নেওয়া করাই। ঐশীকে ওই ঘটনার পর তার বাবা ও সৎ মা আসানসোল ঊষাগ্রাম গার্লস স্কুলে ভর্তি করেন এবং হোস্টেলে থাকার ব্যবস্থা করে দেন।কিন্তু স্কুলের ছুটি থাকার সময় সে বাড়ি আসতে চাইলে তাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হতো না।তারপর আসে স্কুলের পাঠ চুকিয়ে যখন বাড়িতে আসে আবারও তার বাবা-মা তাকে কলকাতার সিস্টার নিবেদিতা কলেজে ভর্তি করে দেন এবং সেখানেও তাকে হোস্টেলে রেখে দেন।মুশকিল হয় যখন তার বাবা কলেজের কোন ফিস জমা দিতেন না অনেক টাকা বাকি পড়ে যায় সেই কলেজে।তারপর সে যখন কোভিড অবস্থার কারণে বাড়ি আসার জন্য তার বাবাকে ফোন করে তখন তার বাবা তাকে বলেন তুই আর বাড়ি ফিরে আসবি না।যদি তুই বাড়ি ফিরে চলে আসিস তাহলে তোকে এবার মারবো।
তারপর সে অসহায় হয়ে তার কাকাকে যখন ফোন করলে তার কাকু রাজ নারায়ণ মাহাতা তাকে একই কথা বলে সঙ্গে এও বলে।এবং তাকে হুমকিদেন বাড়িতে এলে তার শারীরিক নির্যাতন করে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। তারপরও ঐশী তার বাড়ি চয়োনপুরে ফিরে আসেন কিন্তু সেখানে এসে দেখে তার বাড়িতে তালা দেওয়া তার বাবা-মা কোথায় চলে গিয়েছে তা সে জানতে পারেন না।তারপর ঐশ্ৰী চারি দিকে খোঁজখবর করতে শুরু করে শেষমেষ দু’বছর পর তার বাবা-মায়ের খোঁজ পায় তারা বানপুর একটি ফ্ল্যাটে থাকেন।তারপরে তার বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার বাবা তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।
এই ঘটনার পর আবারো সে প্রশাসনের ঘরে দ্বারস্থ হন এবং কমিশনার অফিস ও থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।কিন্তু সেখান থেকেও এখনো পর্যন্ত কোন সুরাহা পাওয়া যায়নি।বর্তমানে ঐশী কোনরকমে তার পুরনো বন্ধু বান্ধব,ও পরিচিত লোকের বাড়িতে দিন কাটাচ্ছেন।তার একটাই বক্তব্য সে এখন কি করবে কোথায় যাবে প্রশাসনের কাছে করুণ স্বরে বিনতি করে চলেছে ঐশ্ৰী।