Teeth: সুন্দর দাঁত মানেই, সুন্দর হাসি

Published By: Khabar India Online | Published On:

 সৌন্দর্যের জন্য চাই দাঁতের সঠিক পরিচর্যা। সঠিক সময়ে দাঁতের যত্ন না নিলে দাঁতে হতে পারে বিভিন্ন ধরনের অসুখ। যেমন-দাঁত হলুদ হয়ে যাওয়া, মাড়ি ফুলে যাওয়া ইত্যাদি। চলুন যেনে নেয়া যাক দাঁতের যত্নে কি করণীয়ঃ

 আপনার টুথ ব্রাশ প্রতি তিন মাস পর পর বদলান।

 খুব শক্ত ব্রাশ আপনার মাড়িতে আঘাত করে রক্ত ঝড়াতে পারে আর খুব নরম ব্রাশ প্লাক দূর করতে পারে না। তাই মাঝারি ধরনের ব্রাশ ব্যবহার করুন। নরম টুথব্রাশ ব্যবহার করুন।

এসিডিক ও মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। এ ধরনের খাবারগুলো দাঁতের ক্ষয় করে।

প্রচুর জল পান করে মুখকে আর্দ্র রাখুন। শুষ্ক মুখ দাঁতের ক্ষয় বাড়িয়ে দেয়।

আরও পড়ুন -  Happily Coughing: কি করবেন? খুশখুশে কাশি হলে

 ফ্লোরাইড বেজ মাউথওয়াশ দিয়ে নিয়মিত মুখ কুলি করুন।

 দাঁত ভালো রাখার জন্য ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খান। দুধ পান করার চেষ্টা করুন, এটি আপনার ক্যালসিয়াম বাড়ায়।

 দাঁতে সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের কাছে যাবেন, নিয়মিত চেকআপের মধ্যে থাকার জন্য বছরে অন্তত দুবার দন্ত্যচিকিৎসকের কাছে যান।

 প্রতিদিন মাড়ি ম্যাসাজ করুন। মাড়িতে ম্যাসাজ করা রক্ত সঞ্চালনকে বাড়িয়ে দেয়।

 আপনার জিহবা ব্রাশ করতে ভুলবেন না, সেই সাথে আপনার মুখের উপরের তালু।

 দাঁত-মুখের ব্যায়ামে জাইলোকল জাতীয় চুইংগাম খেলে দাঁত ও মুখের মাসেলের ব্যায়াম হয়।

পান, তামাক, জর্দা খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে, যা দাঁতের স্বাস্থের জন্য ভালো নয়। অনেক সময় মুখে ঘা, ক্ষত বা ক্যান্সারের কারণ হতে পারে এগুলো।

আরও পড়ুন -  Pregnant: গর্ভবতী মায়ের যত্ন কি ভাবে নেবেন ?

 সুস্থ দাঁতের জন্য নিয়মিত সকালে কাবার পরে ও রাতে খাবারের পরে দুই বার সঠিকভাবে দুই মিনিট ধরে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। ব্রাশ করার সময় যথাসম্ভব আলতো করে সার্কুলার মোশনে দাঁত ব্রাশ করতে হবে।

 টুথপিক ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। টুথপিক ব্যবহারে মাড়িতে ইনফেকশন হতে পারে। এ ছাড়া কয়লা, ছাই, মাটি, গাছের ডাল ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না।

 ধূমপান করা থেকে বিরত থাকুন। সিগারেটে থাকা নিকোটিনের প্রভাবে দাঁতের অ্যানামেল ক্ষতি হয়।

আরও পড়ুন -  Nishith Pramanik: স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, চুরির মামলায়

দাঁতের সুস্বাস্থ্যের জন্য যত্নের পাশাপাশি প্রয়োজন হয় খাদ্যের। ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, আয়োডিন, ফ্লোরিন ইত্যাদি দাঁতের জন্য অপরিহার্য।

 ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার: ক্যালসিয়াম দাঁত ও মাড়িকে মজবুত করে। যেমন- দুধ, দই, পনির, কাঁটাযুক্ত ছোট মাছ, সয়াবিন, শিমের বিচি।

 ভিটামিন সি জাতীয় খাবার: এগুলো মাড়ি থেকে রক্তপাত হওয়া কমাতে সাহায্য করে। যেমন- আমলকি, পেয়ারা, লেবুজাতীয় ফল, মাল্টা, টমেটো, কাঁচা মরিচ।

 আয়োডিনযুক্ত খাবার: আয়োডিনযুক্ত খাবার হচ্ছে- বাঁধাকপি, ফুলকপি, সামুদ্রিক মাছ ও আয়োডিনযুক্ত লবণ।

 ভিটামিন বি১ জাতীয় খাবার: এগুলো দাঁতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। যেমন- আটা, ডিমের কুসুম, মাছ, চিনাবাদাম।